Fiber Diet Mistakes

স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খাবারে ফাইবার যোগ করছেন, নিয়ম মেনে খাচ্ছেন কি? ভুল ডায়েটে ক্ষতিও হতে পারে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা তো বটেই, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও বশে রাখতে সক্ষম ফাইবার। তবে ডায়েটে তা যুক্ত করার নিয়ম না জানলে, ক্ষতি অবধারিত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৩০
Share:

স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ফাইবার কী ভাবে খাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।

পেটের স্বাস্থ্য থেকে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল— সুস্থ থাকতে ফাইবারই ভরসা, বলেন পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা তো বটেই, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও বশে রাখতে সক্ষম ফাইবার। স্থূলতার ঝুঁকি কমাতেও ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ২০-৩০ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।

Advertisement

ফাইবারেরও ধরন রয়েছে। একটি হল সলিউবল ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আর এক ধরনের ইনসলিউবল ফাইবার রয়েছে, যা পেট পরিষ্কারে সহায়ক। পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।

উপকারী বলেই সকাল থেকে রাত, সমস্ত খাবারেই ফাইবার জুড়ছেন? এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। ফাইবার যুক্ত খাবার ডায়েটে জোড়ার সময় কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?

Advertisement

মাত্রা: দৈনন্দিন যতটা ফাইবার খেতেন, সেই মাত্রা আচমকা অনেকটা বাড়িয়ে দিলে উল্টে হজমের সমস্যা হতে পারে। যদি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকে, তা হলে ধাপে ধাপে তা বাড়াতে হবে। ১৫ থেকে ২০, ২৫ এই ভাবে ৩০ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি নয়।

অন্ত্রে ভাল-খারাপ নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া বাস করে। কিছু ব্যাক্টেরিয়ার শক্তির উৎস হল ফাইবার। আচমকা ফাইবারের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেলে, ব্যাক্টেরিয়ার কাজের উপর চাপ পড়তে পারে। এতে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

জল: শুধু ফাইবার যথেষ্ট নয়, তার কার্যকারিতা ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষত ইনসলিউবল ফাইবার জল শোষণ করে ফুলে ওঠে। মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে। কিন্তু জল কম খেলে ফাইবার বেরোতে চাইবে না। উল্টে সমস্যা হবে।

কোন ফাইবার: ফল, শাক-সব্জিতে যেমন ফাইবার মেলে তেমনই নানা খাবারে কৃত্রিম ভাবে ফাইবার যুক্ত করা হয়।চিকিৎসকেরা সব সময় এমন খাবার খেতে উৎসাহ দেন, প্রাকৃতিক ভাবে যাতে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তা ছাড়া, শুধু ফাইবার নয়, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খাবারে থাকা জরুরি। না হলে স্বাস্থ্য বজায় থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement