প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বর্তমান সময়ে সুস্থ থাকতে বহু মানুষ যোগব্যায়ামের শরণাপন্ন হচ্ছেন। নিয়মিত যোগাভ্যাসের নানা উপকার রয়েছে। অনেকেই সকালে যোগের মাধ্যমে দিন শুরু করেন। কিন্তু যোগাভ্যাসের আগে কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, তার উপরে যোগের উপকার কিছুটা হলেও নির্ভরশীল। আবার যোগের পরে খাবার ততটাই গুরুত্বপূর্ণ পেশির পুনর্গঠনের জন্য।
যোগের আগে
যোগ প্রশিক্ষক এবং পুষ্টিবিদেরা জানিয়েছেন, সেশন শুরুর অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে হালকা খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু সেই খাবার যাতে শরীরকে যোগের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগান দেয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যোগাভ্যাসে শরীরকে নমনীয় রাখতে হয়। কারণ, শরীরে প্রায় সমস্ত অংশই যোগের ক্ষেত্রে কাজ করে। তাই যোগ শুরুর আগে ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়। যেমন, যোগাভ্যাসের আগে কোনও তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে ফাইবার এবং প্রোটিনে পরিপূর্ণ কোনও স্মুদি খাওয়া যেতে পারে। আবার একটি কলা এবং কয়েকটি ভেজানো কাঠবাদামও খাওয়া যেতে পারে। এই ধরনের খাবার শরীরকে শক্তি জোগালেও পেট ভারী করে না। ফলে যোগাভ্যাসের সময় কোনও সমস্যা হয় না। পাশাপাশি, পরিমাণমতো জলও পান করা উচিত।
যোগের পরে
যোগাভ্যাসের পর মন সতেজ হলেও দেহের পেশিগুলি ক্লান্ত থাকে। তাই শরীরকে পুনরায় কর্মক্ষম করে তুলতে যথোপযুক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই এই সময়ে প্রোটিনে পরিপূর্ণ খাবার খাওয়া উচিত। যেমন পনির, অঙ্কুরিত ছোলা বা ফল। ওট্স বা কিনোয়ার মতো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খেতে পারলে আরও ভাল। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে, বিটনুন, পাতিলেবু ও চিনির শরবত খুবই উপকারী।
যোগাভ্যাসের পরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ খাবার খেলে তা পেশির পুনর্গঠনে সাহায্য করে। তাই ফল খাওয়া যেতে পারে। তারই সঙ্গে চিয়া পুডিং, সেদ্ধ ডিম বা মাল্টিগ্রেন টোস্ট খাওয়া যেতে পারে। তবে যোগাভ্যাসের পর প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি দেওয়া খাবার বা কফি না খাওয়াই ভাল। যোগ প্রশিক্ষকদের মতে, শরীরচর্চার আগে এবং পরে পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ খাবার খেতে পারলে তা যোগের উপকারকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।