প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় কি আপনার হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে? কারও কারও ক্ষেত্রে এই অনুভূতি দ্রুত চলে যায়। আবার অন্যদের জন্য, স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হৃৎস্পন্দন উদ্বেগজনক হতে পারে। অনেক সময়ে তার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা হতে পারে। সিঁড়ি ভাঙলে দেহের এই প্রতিক্রিয়া কি স্বাভাবিক?
কী কী কারণ
১) সমতলে হাঁটার তুলনায় সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠা কঠিন। কারণ তা মধ্যাকর্ষণের বিপরীতে ঘটে। বেশি ক্ষণ সিঁড়ি দিয়ে উঠলে পায়ের পেশি ভারী হয়ে আসে। দেহে অক্সিজেনের প্রবাহ কমতে থাকে। তার পর হৃৎপিণ্ড আরও দ্রুত রক্ত পাম্প করে সারা দেহে ছড়িয়ে দেয়।
২) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হার্ট আরও দ্রুত কাজ করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। তাই এই ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সিঁড়ি ভাঙলে সাধারণত বুকে চাপ সৃষ্টি হয় না। কিন্তু হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস যদি নিয়মিত সমান দক্ষতায় কাজ না করে, তা হলে সিঁড়ি ভাঙলে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে বুক ধড়ফড় করে। ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ কার্ডিয়োভাস্কুলার মেডিসিন’ থেকে জানা গিয়েছে, যাঁরা অলস জীবনযাপন করেন, সিঁড়ি ভাঙার সময়ে তাঁদের হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩) ক্লান্তি, উদ্বেগ, অতিরিক্ত ক্যাফিন, দেহে জলশূন্যতার মতো বিষয়গুলি তৈরি হলে সামান্যতম পরিশ্রমে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। কারণ দেহে তখন অক্সিজেনের অভাব তৈরি হয়। ফলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলে বুকে চাপ অনুভূত হতে পারে।
৪) রক্তাল্পতা, থাইরয়েডের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার ক্ষেত্রে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে বুক ধড়ফড় করত পারে।
সতর্কতা
দ্রুত হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে বুকে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সেগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সহজ কিছু পরীক্ষা, যেমন ইসিজি, স্ট্রেস টেস্ট বা ইকোকার্ডিয়োগ্রামের মাধ্যমে, উপসর্গগুলি কতটা ক্ষতিকারক তা জানা সম্ভব।