৫ মিনিটের ব্যায়ামেই ভুঁড়ি কমবে। ছবি: এআই।
ভুঁড়ি কমানো অতটা সহজ নয়। খেয়েদেয়ে যতটা মেদ বেড়েছে, তা চটজলদি ঝরিয়ে ফেলা কি যায়! সে জন্য ডায়েট, শরীরচর্চা সবেরই প্রয়োজন। ঘড়ি ধরে পেটের নানা ব্যায়াম করতে যাঁদের ঘোর অনীহা, তাঁদের জন্য একটি ব্যায়াম আছে। রোজ মাত্র ৫ মিনিট করে করলেই ভুঁড়ি কমবে। ওজন ঝরবে অল্প দিনেই। শুধু তাই নয়, বাতের ব্যথাবেদনা থেকে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা— সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে খুব তাড়াতাড়ি।
ব্যায়ামটি নাম স্কোয়াট। নাম শুনলে খুব কঠিন বলে মনে হবে। ইন্টারনেটের দৌতলে ক্রাঞ্চেস, লাঞ্জেস, পুশ-আপ, প্ল্যাঙ্ক বা স্কোয়াটের মতো ব্যায়ামের নাম এখন অনেকেই জানেন। তবে জেনে রাখা ভাল, অন্যান্য ‘অ্যাব-ওয়ার্কআউট’-এর মতো স্কোয়াট অত কঠিন নয়। ‘পায়ের জোর বাড়াতে এবং টোনিংয়ের জন্য স্কোয়াটের বিকল্প নেই। কমবয়সিরা তো বটেই, চল্লিশের বেশি বয়সিদের জন্যও স্কোয়াট উপকারী। পেট, কোমর, নিতম্ব, ঊরু সবেরই ব্যায়াম হয়। শুধু নিয়ম মেনে করতে হবে।
বেসিক স্কোয়াটের পদ্ধতি
এই ব্যায়ামের মূল কথা হল তার ভঙ্গিমা। এটি ভুল হলে কাজ তো হবেই না, উল্টে অন্য সমস্যার সূত্রপাত হবে। বেসিক স্কোয়াটে দু’টি পা অল্প ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এ বার চেয়ারে বসার মতো ভঙ্গি করতে হবে। দু’টি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। এক, শরীরের উপরের অংশ সামনে ঝুঁকবে না, কাঁধ সোজা থাকবে। নয়তো কোমরে চাপ পড়বে। দুই, ওঠা-বসার সময়ে গোড়ালিতে জোর দিতে হবে। ওজন হাতে নিয়ে বেসিক স্কোয়াটও বেশ উপকারী। কেটল বল বা ডাম্বল হাতে নিয়ে স্কোয়াট করা যায়। তবে এই ধরনের স্কোয়াট করতে চাইলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ জরুরি।
রোজ শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াট করুন। শরীরের অনেকটা উপকার মিলবে। স্কিপিং, দৌড়ানো, হাঁটাহাঁটিতে পায়ের পেশির যে উপকার মেলে, স্কোয়াট থেকে তার অনেকটাই পাওয়া সম্ভব। কোমর ও পায়ের পেশিকে শক্তসমর্থ করতেও স্কোয়াটের জুড়ি মেলা ভার। আর পেটের মেদ তো কমবেই।
সদ্য ব্যায়াম শুরু করেছেন এমন মহিলা ও পুরুষেরা দিনের বেলা বা বিকেলের দিকে ৩ সেটে ১২টি করে স্কোয়াট করলে উপকার পাবেন। অর্থাৎ ৩৬টি স্টেপ করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, ভারী খাবার খেয়ে ব্যায়াম করবেন না। খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে স্কোয়াট বা যে কোনও স্ট্রেচিং করলে ভাল। শুরুতে ৩ সেটে ১৫টি করে স্কোয়াট করা ভাল। ধাতস্থ হয়ে গেলে তখন ৪ সেটে ২৫টি করে করতে পারবেন অর্থাৎ দিনের হিসেবে ৪৫-১০০টি স্টেপ করতে পারলে বাতের ব্যথাবেদনা থেকেও রেহাই পাবেন।