প্রতীকী চিত্র।
শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস। সপ্তাহান্তে ছুটির কথা মাথায় রেখে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। ঘুরতে গিয়ে অনেকেরই মলত্যাগে সমস্যা হয়। বাড়িতে থাকাকালীন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃকর্মের নিজস্ব অভ্যাস তৈরি হয়। কিন্তু বাড়ির বাইরে থাকলে সমস্যার সম্মুখীন হন অনেকেই। সময়ে মলত্যাগের বেগ তৈরি হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেয়। তবে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
অভ্যাসে ছেদ
ভ্রমণের সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যক্তির দৈনিক রুটিনে পরিবর্তন ঘটে। পাশাপাশি বাড়ির মতো সময়ে খাওয়াদাওয়াও হয় না। রুটিনের পরিবর্তনের জন্য হজম প্রক্রিয়াও ধীর গতিতে চলতে থাকে। তার ফলে মল তৈরি এবং মলত্যাগের ইচ্ছাও কমে যায়। এর ফলে কখনও অস্বস্তি, কখনও আবার পেটব্যথাও হতে পারে। সাধারণত দীর্ঘকালীন ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথম কয়েক দিন সমস্যাটি বাড়তে পারে। তার পর সময়ের সঙ্গে দেহ মানিয়ে নেয়। চিকিৎসক অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাড়ির পরিবেশ, নিয়ম এক রকম। কিন্তু কোথাও ঘুরতে গেলে পরিবেশ এবং রুটিন বদলে যায় বলেই সমস্যা শুরু হয়।’’
কী কী লক্ষণ
১) ঘুরতে গিয়ে কারও কারও এক সপ্তাহে তিন বারের কম মলত্যাগ হলে সাবধান হওয়া উচিত।
২) মল শক্ত হয়ে যাওয়া এবং মলত্যাগের সময় পায়ুদ্বারে যন্ত্রণা অনুভব করা।
৩) খাবার খাওয়ার পর পেটফাঁপা বা নির্দিষ্ট সময়ান্তরে পেটে ব্যথা হওয়া।
সমাধান
ভ্রমণের সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে অমিতাভ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন—
১) ঘুরতে গিয়ে প্রতি দিন জল খাওয়া উচিত। বিশেষ করে বাড়িতে থাকলে যে সময়ে প্রাতঃকর্মের বেগ আসে তখন বেশি করে জল খাওয়া উচিত। তার ফলে মলত্যাগের ইচ্ছা তৈরি হতে পারে।
২) রাতের খাবার কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া চলবে না। রাতে রুটি এবং বেশি করে সব্জি খাওয়া উচিত। ভাল ঘুম হলে সকালে মলত্যাগের বেগ আসবে।
৩) ঘুরতে গিয়ে অনেকেই চা, কফি বেশি পান করেন। তার সঙ্গে মদ্যপানও করে থাকেন অনেকে। মলত্যাগে সমস্যা হলে এই ধরনের অভ্যাস বন্ধ রাখা উচিত।
৪) বাড়িতে যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ঘুরতে গিয়ে সেই অভ্যাস বজায় থাকলে সমস্যা কমতে পারে।
৫) ভ্রমণের সময় ব্যস্ততার কারণে মলত্যাগের বেগ এলেও অনেকে তা চেপে রাখেন। এই প্রবণতার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হতে পারে। তাই মলত্যাগের বেগকে অবহেলা করা উচিত নয়।
৬) সবশেষে সমস্যার সমাধান না হলে রাতে জলে ইসবগুলের ভুষি গুলে খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। তার ফলে মলের কাঠিন্য কমবে এবং সকালে মলত্যাগের বেগ তৈরি হবে।