ফ্রিজ থেকে ডিম বার করেই কি সেদ্ধ করেন? এতে কোন সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালের জলখাবার হোক দুপুরের খাবার ডিম খাওয়া যায় যে কোনও সময়েই। সে কারণে বেশিরভাগ বাড়িতে ফ্রিজে মজুতও থাকে। চট করে বার করে যাতে পছন্দমতো সেদ্ধ, পোচ, ভাজা যে কোনও একটা বানিয়ে নেওয়া যায়। ফ্রিজের ঠান্ডা ডিমই কি সরাসরি সেদ্ধ করতে বসিয়ে দেন? কেন তা আগে ঘরের তাপমাত্রায় আনা জরুরি?
১। জলে ডিম দিয়ে সেদ্ধ করতে দিলেন। কিছুক্ষণ পরে দেখলেন ডিমের খোলা ফেটে ভিতর থেকে কুসুম এবং সাদা অংশের কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। অথচ ডিমটি খুব সাবধানে সেদ্ধ করার জন্য পাত্রে দিয়েছিলেন। অনেক সময় ফ্রিজে থাকা খুব ঠান্ডা ডিম সরাসরি গরম করতে দিলে এমন হয়। আচমকা ঠান্ডা এবং গরমের তারতম্যে এমনটা হতে পারে।
২। অতিরিক্ত ঠান্ডা ডিম সেদ্ধ হতেও বেশি সময় লাগে। গ্যাস বা জ্বালানি খরচও বেড়ে যায়। আবার সময়েরও অপচয় হয়। বিশেষত তাড়াহুড়োর সময় এই পন্থা অনুপযুক্ত।
৩। ফ্রিজের তাপমাত্রা যদি খুব কমানো থাকে কুসুমের অংশ বিশেষ জমেও যেতে পারে। বিশেষত শীতকালে এমনটা হয়। এরকম ডিম যেমন চট করে সেদ্ধ হয় না তেমনই কোনও অংশ নরম রয়ে যেতে পারে। বিশেষত কুসুম পুরোপুরি সেদ্ধ করতে চাইলে ডিম ফ্রিজ থেকে অন্তত আধ ঘণ্টা আগে বার করে রাখা দরকার।
৪। ফ্রিজের ঠান্ডা ডিম সেদ্ধ করতে খোসা ছাড়ানোর সময়ও সমস্যা হতে পারে। জলে একটু নুন বা ভিনিগার দিয়ে ডিম সেদ্ধ করলেও খোসা ছাড়ানো সহজ হয়।
কী ভাবে দ্রুত ডিম ঘরের তাপমাত্রায় আনবেন?
সকালে তাড়াহুড়োয় ডিম রান্না করতে হবে। অথচ ফ্রিজ থেকে বার করা হয়নি বা হাতে বিশেষ সময় নেই। এমন সময় ঈষদুষ্ণ জলে ডিমটি পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতেই ডিমের অতিরিক্ত ঠান্ডা ভাব কেটে যাবে। তারপর সেটি সেদ্ধ করতে পারেন বা পোচ।