পকোড়া তৈরির বাড়তি মিশ্রণ দিয়ে বানান মুখরোচক পদ। ছবি:ফ্রিপিক।
পকোড়ার জন্য বেসন গুলেছিলেন। ভাজাভুজির পরেও সেই মিশ্রণ বেঁচে গেল ? এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। অনেক সময় মাপ ঠিক করা যায় না। আবার অনেক সময় বাড়ির লোক কম খেলে সেই জিনিস বেঁচে যায়। ভেজে রাখা মিইয়ে যাওয়া পকোড়াও মোটেই সুস্বাদু লাগে না। তাই ভাবনা হতেই পারে বেঁচে যাওয়া মিশ্রণ দিয়ে কী করবেন? এটি দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায় রকমারি পদ।
ইডলি: চালের নয়, এটি হবে বেসনের। একটি পাত্রে কিছুটা সুজি টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মিনিট দশেক ঢাকা দিয়ে রাখুন। এর সঙ্গে পকোড়ার মিশ্রণটি মাপমতো যোগ করুন। মিশিয়ে নিন খাবার সোডা। মিশ্রণটি ইডলির স্যান্ডে ঢেলে দিন। এবার মাইক্রোওয়েভ অভেনে বা বড় পাত্রে জলের ভাপের সাহায্যে ইডলি বানিয়ে নিন। উপর থেকে শুকনো লঙ্কা, সর্ষে, কারিপাতা ফোড়ন দিলে স্বাদ আরও বা়ড়বে।
আপ্পে: দক্ষিণ ভারতীয় খাবার আপ্পে দেখতে ছোট গোল বলের মতো। উপর থেকে মুচমুচে, ভিতরে নরম। মূলত চাল, বিউলির ডালের মিশ্রণ দিয়ে তা তৈরি হয়। কেউ কেউ সুজি, দই দিয়েও তা বানান। বেসন দিয়েও আপ্পে বানাতে পারেন। স্বাদ একটু ভিন্ন হবে। বেসনের মধ্যে পেঁয়াজ, লঙ্কার পাশাপাশি নানা রকম সব্জি কুচিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর আপ্পে তৈরির নির্দিষ্ট কড়াইয়ে মিশ্রণটি দিয়ে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিন।
চিলা: বেসনের মিশ্রণটি জল দিয়ে একটু পাতলা করলেই তা দিয়ে চিলা বানানো যাবে। কড়াইয়ে সামান্য তেল ছড়িয়ে দিন। কড়াই তেতে উঠলে বেসনের মিশ্রণটি একটু পাতলা এবং গোল করে ছড়িয়ে দিন। উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিন।
বেসনের ওয়াফল দিয়ে পিৎজ়া: বাড়িতে ওয়াফল তৈরির যন্ত্র থাকলে বেসনের অতিরিক্ত মিশ্রণটি ব্যবহার করে ওয়াফল তৈরি করা যায়। এটি পরিচিত স্বাদের ওয়াফল না হলেও হবে প্রোটিনে ভরপুর। বেসনের মিশ্রণে লঙ্কাগুঁড়ো মেশানো থাকলে গোলমরিচ দিতে হবে না। না হলে যোগ করতে পারেন। রসুন বাটা মিশিয়ে দিলেও খেতে ভাল লাগবে। মিশ্রণটি যন্ত্রে দিলেই ওয়াফলের মতো হয়ে যাবে। মধু বা মেপল সিরাপ দিয়ে সেটি খেতে পারেন। কিংবা এর উপরে পাস্তা সস্, চিজ়, সব্জি যোগ করে এয়ার ফ্রায়ারে দিয়ে পিৎজ়ার মতো বানিয়ে নিতে পারেন।
মুচমুচে মাছ ভাজা: লটে হোক বা তোপসে, রুই, কাতলা— যে কোনও মাছ লেবুর রস, আদা-রসুন, নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন। তারপর বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ভেজে ফেলুন। গরম ভাতে এ ভাবে মাছ খেতে দারুণ লাগবে।