তড়কা উত্তর ভারতীয় খাবার হলেও বাঙালি হেঁশেলে প্রায় পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে। রুটি-তড়কা বাঙালির প্রিয় ডিনারের মধ্যেই পড়ে। নিরামিষ তড়কা আর ডিম তড়কা খেতেই বাঙালি অভ্যস্ত। সেই তড়কাই এ বার আরও একটু সুস্বাদু করে তুলতে শিখে নিন এগ মাটন তড়কা।
কী কী লাগবে: আড়াই কার কাঁচা মুগ ডাল, ১ কাপ ছোলার ডাল, ১টা বড় পেঁয়াজ কুচনো, ১টা মাঝারি সাইজের টোম্যাটো কুচনো, ১ ইঞ্চি আদা, ৬-৮ কোয়া রসুন, ২ চা চামচ কসৌরি মেথি গুঁড়ো, ১ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ, ৩-৪ চা চামচ লাল লঙ্কা গুঁড়ো, দেড় চা চামচ জিরে গুঁড়ো, দেড় চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, গোটা জিরে ২ চা চামচ, তেজপাতা: ২টো, ৩-৪টে কাঁচা লঙ্কা কুচনো, ধনেপাতা কুচি: ১ মুঠো, ৩টে বড় ডিম, ১ কাপ মাটন কিমা, ৩ টেবল চামচ তেল।
কড়াইতে তেল গরম করে গরম মশলা ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। ১০-১২ সেকেন্ড পর পেঁয়াজ ও কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজতে থাকুন।
পেঁয়াজ যখন সামান্য লালচে ও স্বচ্ছ হতে থাকবে তখন নুন, চিনি দিয়ে আদা, রসুন দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন।
টোম্যাটো কুচি দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না গলে যাচ্ছে ও তেল ছাড়তে শুরু করছে।
গুঁড়ো হলুদ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে সামান্য জল দিন। মশলা কষাতে থাকুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যাচ্ছে।
এ বার কারিতে মাটন কিমা ও নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
কিমা ভাল করে কষাতে থাকুন যতক্ষণ না পুরো সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে আসছে। শুকিয়ে কড়াইতে ধরে যেতে থাকলে সামান্য তেল দিন। কিমা হতে হতে মুগ ও ছোলার ডাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে ৪-৫ কাপ জল ও নুন দিয়ে প্রেশার কুকারে ৫-৬টা হুইসল পর্যন্ত সিদ্ধ করে নিন।
মাটন কিমা পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে গেলে জল সমেত সিদ্ধ মুগ ডাল দিয়ে দিন।
রান্না হতে হতে ডিম ও নুন ফেটিয়ে নিন। অন্য একটা কড়াইতে তেল গরম করে ফেটানো ডিম ভেজে স্ক্র্যাম্বলড এগ তৈরি করে নিন। ডালের উপর স্ক্যাম্বলড এগ ছড়িয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই সময়ই কসৌরি মেথি ও গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে দিন।
আঁচ বন্ধ করে উপরকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
টাটকা রুটি বা পরোটার সঙ্গে খান গরম গরম এগ মাটন তরকা ডাল।