(ছবি সৌজন্য: পৌলমী মল্লিক কুণ্ডু)
নতুন বছরকে বরণ করবেন, আর পাতে থাকবে না মুরগির মাংস। তা-ও কী হয়? আমার মা জমিয়ে কষে মুরগির একটি পদ রান্না করেন। বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানে সেই মুরগির মাংস রান্না করাটা এখন রীতিমতো অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজ আপনাদের সঙ্গেও ভাগ করে নিলাম সেই রান্না করার মজা। এ বছর করেই ফেলুন বাদশাহী মুরগি। পাতে পড়ে থাকবে না সামান্যতম অবশেষটুকু!
উপকরণ:
মুরগির মাংস— ১ কেজি
পেঁয়াজ— ৪০০ গ্রাম
রসুন— ৫-৬ কোয়া
আদা— এক টুকরো (২ ইঞ্চি মাপের)
টোম্যাটো— ৩টি
পাতিলেবু— ১টি
ধনে পাতা— এক আঁটি
ধনে গুঁড়ো— ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো— আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো— ২ চা চামচ
শাহী গরমমশলা গুঁড়ো— ১ টেবিল চামচ
নুন— স্বাদ মতো
চিনি— এক চিমটে
গোটা জিরে— ১ টেবিল চামচ
তেজ পাতা— ৩টি
শুকনো লঙ্কা— ৩-৪টি
পোস্ত— ২ টেবিল চামচ
চারমগজ— ২ টেবিল চামচ
কাজু বাদাম— ১০-১২টি
কিশমিশ— ১০-১২টি
সরষের তেল— আধ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে একটি পেঁয়াজ বেটে নিন। এ বার আলাদা আলাদা করে রসুন, আদা, ধনে পাতা, পোস্ত, চারমগজ, কাজু বাদাম, কিশমিশ বেটে রাখুন। বাকি পেঁয়াজ কুচিয়ে নিন। ছাঁকা সরষের তেলে পেঁয়াজকুচি ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে আলাদা করে তুলে রাখুন। মুরগির মাংস ভাল করে ধুয়ে পাতিলেবুর রস, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো আর দু’চামচ সরষের তেল দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করুন। তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে আর চিনি ফোড়ন দিন। টোম্যাটোকুচি দিয়ে নাড়ুন। এ বার ম্যারিনেট করে রাখা মুরগির টুকরোগুলো দিয়ে দিন। ভাল করে কষতে থাকুন। মাংস কষে তেল ছেড়ে এলে একে একে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, পোস্ত বাটা, চারমগজ বাটা, কাজু বাদাম বাটা, কিশমিশ বাটা আর স্বাদ মতো নুন দিন। নেড়ে চেড়ে উপর থেকে বেরেস্তা অর্থাৎ ভেজে রাখা পেঁয়াজ আর শাহী গরমমশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে চাপা দিন। মিনিট পাঁচেক পরে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন বাদশাহী মুরগি।
(এই রান্না সাধারণত একদম শুকনো হয়। তাই হাতে গড়া পাতলা রুটি বা পরোটা কিংবা হাল্কা পোলাওয়ের সঙ্গে ভাল জমবে।)
আরও পড়ুন: দই চিংড়ি