—প্রতীকী ছবি।
শ্রেণিকক্ষে দেখানো হচ্ছে পর্নোগ্রাফি! বসে দেখছে ১৩ জন পড়ুয়া। চাঞ্চল্যকর তেমনই একটি ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ের একটি স্কুলে। অভিযোগ, ওই স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে নীল ছবি দেখানো হচ্ছিল। সেই সময় ক্লাসে উপস্থিত ছিল ১৩ জন পড়ুয়া। তাদেরই এক জন ঘটনাটি ক্যামরাবন্দি করে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে বলে খবর। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিতর্কের সূত্রপাত রাজগড়ের ওই স্কুলের শ্রেণিকক্ষের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর। সেই ভিডিয়োয় নাকি দেখা গিয়েছে, ক্লাসরুমে পর্ন চালিয়ে পড়ুয়াদের দেখানো হচ্ছে। তার পরেই হইচই পড়ে। যদিও ওই স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ হেমন্ত যাদবের দাবি, ঘটনাটি প্রায় ৬-৮ মাস আগে ঘটেছিল। তখনও তিনি স্কুলের দায়িত্বভার নেননি। সম্প্রতি সেই ঘটনার ভিডিয়ো এক ব্যক্তি হাতে পেয়েছিলেন। ৫০ হাজার টাকা না দিলে ওই ভিডিয়ো অনলাইনে ছেড়ে দেবেন বলে নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষকে হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি ওই ভি়ডিয়ো অনলাইনে আপলোড করে দেন।
বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি দল গঠন করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্ণ সিংহ ভিলালা। শ্রেণিকক্ষে ভিডিয়োটি কী ভাবে চালানো হয়েছিল তা খতিয়ে দেখবে ওই দল। অভিযুক্তদেরও চিহ্নিত করা হবে। আগামী সোমবারের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট জেলা শিক্ষা দফতরে জমা দেওয়ার কথা ওই দলের।
শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান সাকেত শর্মা ঘটনাটিকে গুরুতর বলে মন্তব্য করেছেন। স্কুলে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সমাজমাধ্যমেও হইচই পড়েছে সেই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে। স্কুলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সঠিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন নেটাগরিকেরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আরও ভাল তদারকি এবং কঠোর নজরদারির প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।