বিরল সেই অক্টোপাস। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
৪০ বছরের মধ্যে চতুর্থ বার। দেখা মিলল বিরল ১৩ ফুট লম্বা ‘সাত হাত’যুক্ত অক্টোপাসের। গভীর সমুদ্রে থাকা হালকা গোলাপি রঙের সেই অক্টোপাসের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। হইচই ফেলেছে সমাজমাধ্যমে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সমুদ্রের গভীরতা এমন অনেক রহস্যে ভরা, যা বিজ্ঞানীদেরও অবাক করে। যখনই এই রহস্যগুলির কোনওটি সামনে আসে, তখনই তা বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একই কারণে সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে মন্টেরে উপসাগরের কাছে ক্যামেরাবন্দি হওয়া অক্টোপাসটিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সমুদ্রের প্রায় ৮০০ মিটার নীচে অন্ধকারে বিরল বিশাল অক্টোপাসটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন বিজ্ঞানীরা।
অক্টোপাসটির নাম হ্যালিফ্রন আটলান্টিকাস। বিশেষ প্রজাতির অক্টোপাসটি ১৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ওজন হয় প্রায় ৭৫-৮০ কিলো। সমুদ্রের এমন অংশে তারা বাস করে যেখানে সূর্যের আলো খুব কমই প্রবেশ করে। সাধারণত অক্টোপাসের আটটি কর্ষিকা বা হাত থাকে। তবে ১৩ ফুটের বিশাল হ্যালিফ্রন আটলান্টিকাস অক্টোপাসটিকে প্রাথমিক ভাবে দেখলে মনে হবে, তার সাতটি বাহু। তবে আসলে আটটি কর্ষিকাই রয়েছে তাদের। ওই প্রজাতির পুরুষ অক্টোপাস প্রায়শই তাদের অষ্টম বাহু লুকিয়ে রাখে। একমাত্র প্রজননের জন্য ব্যবহৃত হয় কর্ষিকাটি। ফলে এটির মাত্র সাতটি বাহু রয়েছে বলে মনে হয়। গত ৪০ বছরে প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে মাত্র চার বার। সম্প্রতি মন্টেরে বে অ্যাকোয়ারিয়াম রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এমবিএআরআই)-এর বিজ্ঞানীরা গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের সময় অক্টোপাসটিকে দেখতে পান। ক্যামেরাবন্দি করেন অক্টোপাসটিকে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটিতে বিশালাকার অক্টোপাসটিকে লাল হেলমেট জেলিফিশ ধরে থাকতে দেখা গিয়েছে।
অক্টোপাসের ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে এমবিএআরআই-এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা। কেউ কেউ আবার অক্টোপাসটিকে দেখে ‘জলজ দানব’-এর তকমাও দিয়েছেন।