দাম যতই আকাশছোঁয়া হোক না কেন, বাঙালির পাতে কিন্তু ইলিশ পড়তেই থাকে প্রায় সারা বছর ধরেই। বিশেষ করে শারদ‘পাতে’ ইলিশ না হলে পুজো জমে? কিন্তু ইলিশের পদ বলতে হয় সর্ষে দিয়ে ঝাল, না হলে কালো জিরে, আর তা না হলে বেগুন দিয়ে ঝোল। এই সবের বাইরে গিয়েও যদি একটু স্বাদ বদল করতে হয়, তা হলে চেখে দেখতে পারেন ইলিশ রোস্ট। চোখ কপালে তোলার দরকার নেই, বাড়িতে চটজলদিই বানিয়ে ফেলা যায় এটি এবং প্রণালীও খুব সহজ।
কী কী লাগবে?
১। ৪-৫ টুকরো ইলিশ
২। পেঁয়াজ
৩। রসুন
৪। আদা
৫। কাঁচা লঙ্কা
৬। নুন
৭। চিনি
৮। দই
৯। বেসন ( তিন চা চামচ )
১০। ঘি (তিন টেবিল চামচ )
১১। শুকনো লঙ্কা (৪-৫)
১২। জল
প্রথমেই মাছের টুকরোগুলিকে ভাল করে ধুয়ে ম্যারিনেট করে নিতে হবে। তার জন্য আগে তৈরি করে নিন পেঁয়াজ-রসুনের পেস্টটা। মিস্কিতে দিন দুই থেকে তিন টুকরো পেঁয়াজ, পরিমাণ মতো আদা, রসুন এবং কাঁচা লঙ্কা। এর পর এগুলির পেস্ট একটি পাত্রে ঢালুন। সেখানে যোগ করুন এক চা চামচ নুন, অর্ধেক চা চামচ চিনি, এ টেবিল চামচ টক দই। চাইলে ভিনিগারও যোগ করতে পারেন। মেশান এক চা চামচ বেসন। সব কিছুকে ভাল করে মেশানো হয়ে গেলে সেটা মাছের গায়ে মাখিয়ে ম্যারিনেশনের জন্য রেখে দিন এক ঘণ্টা।
এর পর কড়াতে দুই টেবিল চামচ ঘি নিন। তাতে আলতো হাতে ছেড়ে দিন ম্যারিনেট করা ইলিশগুলিকে। ঘড়ি দেখে দুই থেকে তিন মিনিট মতো এ পিঠ ও পিঠ করে ভেজে নিন। দেখবেন মাছের রংটি সামান্য সোনালি হয়ে এসেছে এবং ভিতর থেকেও রান্না হয়েছে ৮০ শতাংশ। তবে খেয়াল রাখবেন কোনও ভাবেই যেন মাত্রাতরিক্ত রান্না না হয়ে যায়।
এর পর মাছগুলিকে তুলে নিয়ে ওই একই কড়াতে কিছুটা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়েও ভেজে তুলে নিন। চাইছে কিছুটা আরও ঘি যোগ করতেই পারেন। এ বার দিয়ে দিন পেঁয়াজ-রসুনের পেস্টটি। অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন এটিকে। কিছু ক্ষণ পরেই দেখবেন মশলা থেকে ঘি আলাদা হয়ে যাচ্ছে এবং একই সঙ্গে গ্রেভির ঘনত্ব বাড়ছে ক্রমশ। এখনই সময় শুকনো লঙ্কা এবং ভাজা মাছগুলিকে এতে যোগ করে নেওয়ার। ঢাকা দিয়ে অল্প আঁচে প্রায় ছয় থেকে আট মিনিট রান্না করলেই তৈরি হয়ে যাবে ইলিশ রোস্ট।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।