পুজো মানেই তো নতুন শাড়ি, সাজগোজ আর একরাশ উন্মাদনা। মন এমনিতেই খুশিতে ডগমগে। উজ্জ্বল ত্বকে, ঝকঝকে চেহারায় যদি হয়ে ওঠেন ভিড়ের মধ্যমণি, তবে তো কথাই নেই!
পুজোয় নজরকাড়া হতে কে না চায় ছিপছিপে হয়ে উঠতে? বেশ কিছু দিন আগে থেকেই তাই জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর পালা। কিন্তু শুধু কি শরীরচর্চাতেই সবটা হয়? পুষ্টিবিদেরা বলেন, শরীরচর্চার পাশাপাশি দরকার সঠিক খাবার। কারণ, শরীর যদি ভিতর থেকে সুস্থ না থাকে, তবে তার জেল্লা দেখা যাবে না বাইরেও। তাই পুজোর আগে একটু সচেতন হয়ে নিজের খাদ্যাভ্যাস বদলে নিলেই কিন্তু আপনি হয়ে উঠতে পারেন সবার চেয়ে আলাদা, শারদ-অনন্যা।
পুজোর আগের সকালগুলো এমনিতেই আনন্দে-উত্তেজনায় ভরে থাকে। এই সময়ে সঠিক ডায়েট আপনার শরীর এবং মন দুই-ই ভাল রাখতে সাহায্য করবে। মেনে চলতে পারেন এই টিপ্সগুলো।
১। ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। ওজন ঝরাতে এটা দারুণ কাজ করে।
২। এর পরে জলখাবারে রাখুন পুষ্টিকর কিছু খাবার। এক বাটি ওটস, কর্নফ্লেক্স, অথবা দুটো ডিম সেদ্ধর সঙ্গে একটা স্যান্ডউইচ। মধ্যাহ্ণভোজের আগে যদি খিদে পায়, তবে একটা শশার স্যালাড অথবা ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হালকা খাবার খেলে হজমশক্তি ভাল হয়, শরীরও চনমনে লাগে।
৩। দুপুরের খাবারে একটু নজর দিন। বাটারমিল্ক আর স্যালাডের সঙ্গে খেতে পারেন দুটো রুটি। অথবা এক কাপ ভাত আর সবজির সঙ্গে ১০০ গ্রাম প্রোটিন। বিকেলে হালকা খিদে পেলে এক কাপ গ্রিন টি-র সঙ্গে খান কিছু ডায়েট বিস্কিট অথবা চিঁড়ে।
৪। রাতে খুব বেশি ভারী কিছু না খেয়ে ভেজ স্যালাড বা স্যুপের সঙ্গে চিকেন স্টু আর হাতে গড়া রুটি খান। পুষ্টিবিদ শ্রেয়সী ভৌমিক যেমন বলছেন, “উৎসবের সময়ে বেশি খাওয়া ঠিক নয়। বরং পরিমাণ মতো খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনও খাবার খাওয়ার সময়ে অপরাধবোধে ভোগা উচিত নয়, এতে হিতে বিপরীত হয়।”
৫। শরীরের যত্ন নিতে অবশ্য শুধু খাওয়া-দাওয়া করলেই হবে না। প্রচুর জল খেতে হবে। কারণ, জল শরীরের ভিতর থেকে আর্দ্র রাখে। পুজোর সময়ে অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি বা ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রামও দরকার।
সব মিলিয়ে একটু নিয়ম মেনে চললে, এই পুজোয় আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একেবারে তরতাজা, ঝকঝকে। তার পরে উৎসবের আঙিনায় আপনিই সবার চোখের মণি!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।