রীতিমত শিউরে ওঠার মত নাম! বাংলাদেশের গাজিপুরে টঙ্গির জঙ্গি ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ‘জেহাদি’ বইয়ের নাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশের। বইয়ের নাম ‘নীরবে হত্যার কৌশল’। কীভাবে সহজেই মানুষ মারা যায় তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে এ বইয়ের পাতায়-পাতায়। গুপ্তহত্যায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের সময় ওই বই পাঠ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলেই পুলিশের ধারণা। টঙ্গির আস্তানা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান-সহ চার জনকে আটক করা হয়। ওই আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তল, গুলি, জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ছিল মানুষ কোতলের সহজ উপয়ের ওই বইটিও।
র্যাব সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ জানান, ধৃতদের মধ্যে রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আশিকুল আকবর আবেশ জেএমবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতেন। তার পরিকল্পনা ছিল আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল স্টোরের মতো একটি বিভাগ তৈরি করা। তা ছাড়া, কিলিং মিশনে নিজেরা দুর্ঘটনার শিকার হলে প্রাথমিক কি চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব তাও শিখিয়ে দিতেন আশিকুল আকবর আবেশ।
মুফতি মাহমুদ আরও জানান, আটক এমএম কলেজের রসায়ন বিভাগের ছাত্র শরিয়ত উল্লাহ শুভ সফটওয়্যারে বিশেষ পারদর্শী। তিনি বিভিন্ন অ্যাপ ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষার কাজ করতেন।
ধৃত চার জনের নাম র্যাবের নিখোঁজ তালিকায় আছে কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই চার জনের সঙ্গে আর কে বা কারা এই ডেরায় যাতায়াত করত তাও বের করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুফতি মাহমুদ।
মুফতি আরও বলেন, ‘ধৃতরা প্রাথমিক জেরায় স্বীকার করেছে, প্রত্যেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাধারণত সাত থেকে আট জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে অস্ত্র চালনা, বোমা বানানো এবং শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।’ ধৃত চার জঙ্গি ‘নাশকতার পরিকল্পনা’ করছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন, দাবি র্যাবের। এই দলটির মাথা ছিলেন ধৃত মাহমুদুর হাসান। মাহমুদুর জেএমবি দক্ষিণাঞ্চল শাখার মাথায় ছিলেন।
আরও পড়ুন- জঙ্গি রোখার অজুহাতে অধিকৃত কাশ্মীরে যৌথ টহল চিন-পাকিস্তানের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy