অন্য দিন তাঁর জন্ম তারিখ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সাড়ম্বর জন্মদিন পালন করেন ১৫ অগস্ট জাতীয় শোকদিবসে, যে দিন সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন। এমন একটি নালিশি মামলায় আদালতে হাজিরা না-দেওয়ায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ঢাকার একটি আদালত। শুধু তাই নয়, বিএনপি-র এই নেত্রীকে গ্রেফতার করা গেল কি না, সে বিষয়ে পুলিশকে ২ মার্চের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি অবশ্য দাবি করেছেন, হেনস্থার জন্যই সাজানো অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের নেত্রীকে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অমতের জেরে ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। ফলে কার্যত এক তরফা ভাবে ক্ষমতায় ফেরেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস করা বিএনপি ২০১৮-এ পরবর্তী নির্বাচনে যোগ দেওয়ার জন্য এক রকম তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই নির্বাচন হবে। সেই কমিশন গঠন ও তার কাঠামো সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবারই ঢাকার হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছেন খালেদা। বিএনপি নেতৃত্বের দাবি, সেটা বানচাল করতেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্র ও শনিবার দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি।
৩০ অগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সাংবাদিক গাজী জহিরুল ইসলাম। তাঁর আইনজীবী দুলাল মিত্র আদালতে খালেদার বিয়ের নথি, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মার্কশিট ও পুরনো পাসপোর্টের কপি দিয়ে দাবি করেন, কোনওটিতেই তাঁর জন্ম তারিখ ১৫ অগস্ট নয়। কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি মুজিবের মৃত্যুদিনে কেক কেটে তাঁর জন্মদিন পালন শুরু করেন। অথচ এ দিন সারা দেশে জাতীয় শোকদিবস পালিত হয়। বিচারক এ দিন তাঁকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করলেও তা ফিরে আসে। খালেদাও আদালতে আসেননি। তার পরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy