প্রত্যাশা: এক ফ্রেমে হাসিনা-মমতা। আবার কবে দেখা যাবে এই ছবি, প্রশ্ন সেটাই। —ফাইল চিত্র।
শেখ হাসিনার ভারত সফর যত এগিয়ে আসছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উপর প্রত্যাশার চাপ বাড়ছে ঢাকায়।
রাস্তাঘাট, বসুন্ধরা শপিং মল, ঢাকা ক্লাবের আড্ডায় যে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে তার কেন্দ্রে অবশ্যই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা প্রসঙ্গে স্থানীয় খবরের কাগজের শিরোনামেও। কিন্তু সেটা আর নতুন কী! গত পাঁচ বছরে যত বারই ঢাকায় পা দিয়েছি, সবাই উৎসুক একটি প্রশ্নের জবাব পেতে— মমতা কবে সম্মতি দেবেন তিস্তায়?
কিন্তু এ বারে খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও দেখছি, চিনের প্রসঙ্গ তুলে তিস্তা নিয়ে চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি মমতা নিয়ে তাঁরা খুবই আশাবাদী। তিনি নিশ্চয়ই আসবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে!
প্রধানমন্ত্রীর ঘণিষ্ঠ প্রবীণ নেতা এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এইচ টি ইমাম তো খুবই আশাবাদী। সাম্প্রতিক অতীতের একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলছেন— মমতা নিশ্চয়ই আসবেন এবং বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবেন। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দিল্লিতে গিয়ে যে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকছেন, এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি মমতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সম্পর্ক কতটা আন্তরিক। তাঁকে নিজের মেয়ের মতো দেখেন প্রণববাবু। ফলে যদি কোনও সুযোগ আসে, তা হলে রাষ্ট্রপতি ভবনে অবশ্যই মমতার সঙ্গে হাসিনার দেখা হবে।” অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা মশিউর রহমানের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি বলে ডাকেন। এটা তাই শুধু শুকনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, ব্যক্তিগত আবগের বিষয়!”
আরও পড়ুন: মৌলবাদের বিরুদ্ধে পথে ঢাকার ছাত্ররা
ভারতের সাংবাদিক দলকে একটি পুরনো ঘটনাও আজ শুনিয়েছেন হাসিনার উপদেষ্টা। বলেছেন, ২০১০-এ হাসিনার আগের সফরের আগে ইমাম গিয়েছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। সে সময়ে রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা। তখনই ‘তুই’ বলে সম্বোধন করে মমতাকে ডেকে পাঠান প্রণব। ইমামের কথায়, “সে দিন আমি মমতাকে বলেছিলাম, বাংলাদেশ থেকে শিয়ালদহ হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল লাইনের জন্য আমাদের সাহায্য করুন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দু’দেশের রেল যোগাযোগে মমতা বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।”
সাত বছর আগের সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আবার নতুন করে পেতে চাইছে বাংলাদেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy