Advertisement
০৩ মে ২০২৪

মমতা-হাসিনা বৈঠক চাইছে কেন্দ্র

আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেখানে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার যে বার্তা মমতা দিয়েছেন, তা মেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ স্বীকার করে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসলে এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

অগ্নি রায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:৫২
Share: Save:

আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেখানে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার যে বার্তা মমতা দিয়েছেন, তা মেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ স্বীকার করে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসলে এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

আগামী মাসের ৭ তারিখ তিন দিনের ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, তাঁর সফর কালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাঁচটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নয়াদিল্লিতে আমন্ত্রণ জানাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে হাসিনা-মমতার সম্ভাব্য বৈঠকটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পরে নরেন্দ্র মোদী এখন অনেক বলীয়ান। তিস্তার জল বণ্টন প্রশ্নে মমতাকে নরম করার এটা সুযোগও তৈরি হয়েছে তাঁর কাছে। এই কারণে ঢাকার প্রত্যাশাও বেড়েছে বহুগুণ।

তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ স্বীকার করে শেষ পর্যন্ত দিল্লি আসবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, হাসিনার সফরের এখনও খানিকটা দেরি রয়েছে। আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণও এখনও আসেনি। ফলে এখনই এ নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি। তবে অনেকে বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দিল্লি এসে হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার সুযোগকে কৌশলগত ভাবে কাজে লাগাতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। যে হেতু রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় শেখ হাসিনাকে আতিথ্য দিচ্ছেন, তাই মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণও তিনিই জানাতে পারেন। কূটনীতিকরা মনে করছেন, এর ফলে আমন্ত্রণ স্বীকার করাটা মমতার পক্ষে সহজ হবে।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখনই তিস্তা চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হবে। পাশাপাশি এই চুক্তিতে এত দিন দেওয়াল তুলে রাখা মমতা হাসিনার মুখোমুখি বসলে অনেকটাই ইতিবাচক বার্তা দেওয়া যাবে। এর আগে ২০১০ সালে হাসিনার দিল্লি সফরের সময়েও মমতা দিল্লিতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। উপহারের শাড়ি সঙ্গে নিয়ে দেখা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। দিদি সম্বোধন করেছিলেন হাসিনাকে। পরিস্থিতি ভিন্ন হলেও ৭ বছর আগের সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি দেখতে চাইছে দিল্লি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sheikh Hasina Mamata banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE