'বুলবুলে'র তাণ্ডব বাংলাদেশে। -নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। সেটি এখন খুলনা জেলা পেরিয়ে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে এগচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে ‘বুলবুল’-এর তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা, বাগেরহাট এবং পটুয়াখালি জেলায়। যদিও বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, প্রচণ্ড ঝড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলিতের পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালি, ভোলা, বাগেরহাট, মোংলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালি জেলাগুলিতে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গিয়েছে প্রচুর গাছ। কোথাও কোথাও বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জল ঢুকে পড়েছে। মাঠে থাকা ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এখন ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাস বইছে।
আরও পড়ুন- ‘ঝড় এলেই বা কী? না এলেই বা কী?’
আরও পড়ুন- খালি হচ্ছে ভাঁড়ার! ঘূর্ণিঝড়ের নতুন নামের তালিকা তৈরিতে কোমর বেঁধেছে আট দেশ
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, বুলবুল এখন আর ঘূর্ণিঝড় নেই। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই দমকা বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উপকূলীয় জেলাগুলিতে এখনও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আরও কিছুটা সময় সাবধানে থাকতে হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, নিম্নচাপটির দরুন চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, ফেনি, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালি, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, শ্রীহট্ট ও ময়মনসিংহ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ-সহ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি প্রথম আঘাত হেনেছিল পশ্চিমবঙ্গে। তার পরেই দুর্বল হতে শুরু করে সেটি। বাংলাদেশে পৌঁছনোর পর বুলবুলের গতিবেগ আরও কমে যায়। তাই বাংলাদেশের উপকূল এলাকার ‘মহাবিপদ সঙ্কেত’ আবহাওয়া অধিদপ্তর নামিয়ে নিয়েছে।
বুলবুল শনিবার রাত ৯টা থেকে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে বাংলাদেশ ও ভারতের সুন্দরবন সীমান্ত দিয়ে স্থলভাগের দিকে প্রবেশ করে। সুন্দরবনে আঘাতের পরেই দুর্বল হয়ে পরে বুলবুল। সুন্দরবনের থেকেই ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy