খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহিত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় আজ আদালতে হাজিরা দিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আদালত দুই মামলার মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি আগামী ২৪ নভেম্বর এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছে।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সময়ের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুরনো ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৩-এর এজলাসে হাজির হন খালেদা জিয়া। মামলার নতুন তারিখ ধার্য হওয়ার পর বেলা পৌনে ১টার দিকে খালেদা জিয়া আদালত ছেড়ে চলে যান।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়া সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজি সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়া সহ চার জনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় দুদক ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। মামলাটিতে অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী, তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটি-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আরও খবর
অযোগ্য সাংসদদের বাদ দেবেন হাসিনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy