প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশের সিনেমা দর্শক টানতে ব্যর্থ। ভারতীয় ছবির চাহিদা থাকলেও তার মুক্তি আটকে রাখা হচ্ছে। কোনওক্রমে টিকে থাকা মোট ১৭৪টি সিনেমা হলের সব ক’টিই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেকার নওশাদ বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সিনেমা হলে লোক টানার মতো চলচ্চিত্র বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে না। বাছাই করা ভাল মানের ভারতীয় বাংলা ছবির মুক্তি নানা কৌশলে আটকে রাখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে গুনতে হল মালিকেরা আর পেরে উঠছেন না। তাই এপ্রিলের ১২ তারিখ থেকে সব সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সিমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্তকুমার দাস এবং মিঞা আলাউদ্দিনও। তাঁরা জানান, কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশে ১২৩৫টি সিনেমা হল ছিল। বন্ধ হতে হতে তা ১৭৪-এ দাঁড়িয়েছে। নওশাদ বলেন, ‘‘আমার তিনটি ভারতীয় বাংলা ছবি ৪ মাস ধরে প্রিভিউ কমিটিতে পড়ে রয়েছে। তাঁরা দেখে উঠতে না পারায় সেন্সরের ছাড়পত্র পেয়ে মুক্তি পায়নি সেগুলো। ইতিমধ্যে নানা মাধ্যমে মানুষ সেগুলি দেখে ফেলেছেন।’’ নওশাদের কথায়— এত দেরি করলে আমদানি করা ছবি মুক্তি পেলেও তা দেখতে লোকে কেন হলে আসবে? তিনি জানান— বিদেশি চলচ্চিত্র, বিশেষ করে ভারতীয় বাংলা ছবি সহজ শর্তে আমদানি করতে দিলে তবেই সিনেমা হল মালিকেরা বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।
হল মালিকেরা বলছেন— ভারতীয় বাংলা ছবি বাংলাদেশের শিল্পকে দখল করে নেবে, এই অজুহাত তুলে চলচ্চিত্র জগতের একটা প্রভাবশালী অংশ বিদেশি ছবি আমদানিতে বাধা দিচ্ছেন। আমদানি করা ছবি যাতে মুক্তি না পায়, তার জন্যও কলকাঠি নাড়া হয়। এসিনেমা হলগুলির সঙ্গে যুক্ত ৫০ হাজার মানুষ জীবিকা হারাতে বসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy