প্রতীকী ছবি।
ঢাকার গুলশানে হামলায় জড়িত জঙ্গিদের আরও একটি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রাজধানী ঢাকার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ওই বাড়ির মালিক নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
ওই আস্তানায় উদ্ধার হয়েছে হাতে তৈরি একটি গ্রেনেড, সন্ত্রাসবাদী হামলায় ব্যবহৃত কালো পোশাক এবং আরও কিছু সন্দেহজনক জিনিসপত্র। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার আগে ঘাতকরা ওই বাড়িতেও ছিল বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ না করায় এবং তথ্য পুলিশের কাছে গোপন করার অপরাধে বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, গুলশান হামলার দিনেই জঙ্গিদের ব্যবহৃত বসুন্ধরা এলাকার বাড়ির মালিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
গুলশানে হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ঠিকানা ও তথ্য গোপন করে বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় অভিযোগে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। বসুন্ধরা থেকে ধৃতদের মধ্যে আছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন গিয়াসউদ্দিন আহসান, তাঁর ভাগনে আলম চৌধুরী এবং ভবনের ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান। পুলিশ ওই বাড়িটি থেকে বালি ভর্তি কার্টন এবং হামলাকারীদের জামাকাপড় পেয়েছে। বালি ভর্তি এই সব কার্টনে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা শহরের খোন্দকারপাড়ার একটি বাড়িতে গুলশান হামলার জঙ্গি নিবরাস ইসলাম আরও সাতজনের সঙ্গে ভাড়া ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জনকে পণবন্দি করে একদল হামলাকারীরা। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে সেখান থেকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হন পাঁচ হামলাকারী। এর আগে রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় পুলিশের দুই কর্তাও নিহত হন।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy