সন্ত্রাসের ধাক্কায় কি পিছু হটছে শিকড়ের টান?
কাঁটাতারের ও পারে লাগাতার অস্থিরতা। সীমান্ত পেরোনোর সাহস পাচ্ছেন না এ পারের বহু পর্যটক। সাম্প্রতিক দুই জঙ্গি হানার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পর্যটনে।
কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হওয়া পর্যটন মেলায় উপস্থিত বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জানালেন, প্রতি বছর এ পার বাংলা থেকে বহু মানুষ ও পারে যান নিজের ফেলা আসা জন্মভূমি বা ভিটেমাটির টানে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দু’-তিন বছর ধরে ভারতীয়দের, বিশেষ করে বাঙালিদের ছুটির মরসুমে বাংলাদেশ যাওয়ার প্রবণতা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। ব্যবসা ও পর্যটন মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ জন ভিসার আবেদন করেন। পুজোর ছুটির আগে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়ে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে খবর, অন্যান্য বছর পুজোর ছুটির আগে দিনে গড়ে ছ’শোর বেশি ভিসার আবেদন জমা পড়ত। সেই সংখ্যাটাই এখন একধাক্কায় নেমে এসেছে শ’চারেকের কাছে। তবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আশাবাদী এক অফিসারের কথায়, ‘‘ইদের ছুটির পরে যখন অফিস খুলবে, ভিসার জন্য আবার লম্বা লাইন দেখা যাবে।’’
পর্যটন মেলায় বাংলাদেশের স্টলে দাঁড়িয়ে সে দেশের অসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন বিভাগের যুগ্মসচিব জ্যোতির্ময় বর্মণ বললেন, ‘‘এই বিপর্যয় সাময়িক। শীঘ্রই বাংলাদেশ এই সময় কাটিয়ে উঠবে। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার কোনও আপস করবে না।’’ বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের এগজিকিউটিভ অফিসার মহম্মদ মাসুদুর রশিদ বলেন, ‘‘পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যটন পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে।’’ ভ্রমণ সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, বিগত কয়েক বছরে পর্যটক টানার লড়াইয়ে ও পার বাংলার থেকে এগিয়ে গিয়েছে তাইল্যান্ড। তাইল্যান্ডের পাশাপাশি নেপালও ভারতীয়দের, বিশেষত তরুণ-তরুণীদের কাছে খুব প্রিয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy