স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রটি। হঠাত্ই সেখানে তার এক বন্ধু হাজির হয়। তার সঙ্গে আরও কয়েক জন। দু’জনে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আর এর মধ্যেই সেই বন্ধু তার বুকে ছুরি বসিয়ে দিয়ে পালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা জানিয়ে দেন ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম রাশেদুজ্জামান লিয়ন (১৪)। সে ময়মনসিংহের বাইপাস এলাকার বাসিন্দা ছিল। তার বাবা মালয়েশিয়ায় থাকেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ময়মনসিংহ রেলওয়ে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুলের অন্য পড়ুয়ারা জানিয়েছে, লিয়ন ওই স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ক্লাস শুরুর আগে সে স্কুলগেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল। এমন সময় সহপাঠী নাঈম তার কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে লিয়নের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই সে লিয়নের বুকে ছুরি বসিয়ে দেয়। তার পরে পালিয়ে যায়। অন্য সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা লিয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার কথা জানিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ মিনহাজউদ্দিন বলেন, ‘‘আজ সকালে রাশেদুজ্জামান ইউনিফর্ম পরে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে বেরোয়। স্কুলের গেটের কাছে পৌঁছলে সমবয়সী কয়েক জন দুষ্কৃতী তাকে ছুরি মেরে পালায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। সদর থানা ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে প্রেম সংক্রান্ত কোনও ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। তার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। দুই শিক্ষার্থীই একই স্কুলের এবং একই ক্লাসে পড়ে।’’ ওসি আরও বলেন, নাঈমের বাড়ি শহরের কেওয়াতখালি এলাকায়। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনসুর আলম জানান, রাশেদুজ্জামান লিয়ন তাঁর স্কুলের ছাত্র। তবে, নাঈম ওই স্কিলে পড়ত না বলেই দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy