রাজারহাট, নিউ টাউনের জলাশয়গুলিতে মাছের চাষ শুরু করতে চলেছে হিডকো। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দফতরের আধিকারিকেরা জলাশয়গুলি থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট চলে এলেই পুরো দমে শুরু হবে কাজ। হিডকো সূত্রে খবর, ভেটকি, চিতলের মতো ভাল জাতের মাছের চাষ হবে। মৎস্য দফতরের অবসরপ্রাপ্ত এক ডেপুটি ডিরেক্টরকে পরামর্শদাতা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
রাজারহাটে রয়েছে অজস্র ছোট-বড় জলাশয়। ইকো পার্কে আছে ১১২ একর জলাশয়। তা ছাড়াও বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যা জলাশয় আছে, তার আয়তনও ৯০ একরের মতো। সেগুলিই কাজে লাগানোর কথা ভাবছে হিডকো। দেবাশিসবাবুর বক্তব্য, জলাশয়গুলি ঠিক মতো পরিষ্কার না করায় খুব মশার উপদ্রব হতো। মাছ চাষ হলে মশার উপদ্রব কমার পাশাপাশি মাছের জোগানও বাড়বে। হিডকো জানিয়েছে, জলাশয়গুলি কোনও মাছ ব্যবসায়ীকে লিজে দেওয়া হবে না। হিডকো সরাসরি জেলেদের নিয়োগ করবে। পুরো খরচ বহন করবে হিডকো।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ভেটকি, চিতলের মতো মাছের জোগান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক সময় কম পড়ে। হিডকোর দাবি, বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাছ চাষে চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে। দেবাশিসবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজারহাটে জলাশয়গুলিতে মাছ চাষে উৎসাহ দেখাতেন। তাঁর ভাবনা এ বার বাস্তবে রূপ দান করা হবে।
হিডকোর দাবি, মাছ চাষ থেকে যে উপার্জন হবে তাতে উন্নয়নমূলক কাজ হবে। দেবাশিসবাবু বলেন, “ইকো পার্ক থেকে নিউ টাউনের রাস্তার বাতিস্তম্ভ মেরামতি, সারা বছর নানা খরচ হয়। তার কিছুটা মাছ চাষ থেকে আসতে পারে।” হিডকো সূত্রে খবর, কোথায় কী মাছ চাষ হবে, তা জলাশয়ের গভীরতা দেখে ঠিক হবে। মাছ ধরার প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হবে জলাশয়গুলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy