বিক্রি বিদেশে। কিন্তু দাম টাকায়। চলতি অর্থবর্ষেই ব্রিটেনের বাজারে এমন ‘মশলা বন্ড’ ছেড়ে ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকা) তুলবে ভারতের বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এনটিপিসি, রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন কর্পোরেশনও। শনিবার এ কথা জানান কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
সেই ২০১৫ সাল থেকেই লন্ডনের বাজারে এই মশলা বন্ড (যা বিদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া রুপি বন্ড হিসেবেও পরিচিত) ইস্যুর পরিকল্পনা করছে এনটিপিসি, রুরাল ইলেকট্রিফিকেশনের মতো সংস্থা। গত নভেম্বরে ভারত সফরে এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয় ও ব্রিটিশ আর্থিক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে আমাদের সরকার। যাতে ব্রিটেনে বাড়তে থাকা রুপি বন্ডের বাজার ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপুল লগ্নির তহবিল জোগানে সহায়ক হয়।’’ তার আগে ইংল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর— প্রায় সর্বত্র ওই রুপি বন্ডের পক্ষে সওয়াল করেছেন মোদী। বলেছেন, ‘‘জেমস বন্ড, ব্রুক বন্ডের পরে এ বার পালা রুপি বন্ডের।’’
২০১৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক-কে প্রথম মশলা বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর বিশেষত্ব, বিদেশের স্টক এক্সচেঞ্জেও তা টাকায় কেনা-বেচা করার সুবিধা। তাতে বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার ওঠা-নামা করার ঝুঁকি কার্যত ঝেড়ে ফেলা যায়।
এ দেশে বৃদ্ধির চাকায় গতি বাড়াতে প্রয়োজন পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপুল লগ্নি। অথচ ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে চেপে থাকা অনুৎপাদক সম্পদের জেরে কঠিন হচ্ছে তার জন্য ঋণ পাওয়া। সে ক্ষেত্রে পুঁজি জোগাড়ের বিকল্প পথ হিসেবে আগামী দিনে মশলা বন্ডের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy