Advertisement
০১ মে ২০২৪
Housing Complex

সুদ আরও বাড়লে ধাক্কা বাড়ি বাজারে: সমীক্ষা

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, মাঝে কমার লক্ষণ দেখা গেলেও জুলাইয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার এক লাফে ৭.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে। মূলত আনাজ এবং খাবারদাবাদের দাম বৃদ্ধির ফলে।

An image of Flats

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫২
Share: Save:

দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি বহু দিন ধরেই চড়া। তাতে লাগাম পরাতে গত দেড় বছরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ধাপে ধাপে ২৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়িয়েছে। তার জেরে সুদের হার চড়েছে বাড়ি, গাড়ি-সহ প্রায় সব ধরনের ঋণে। আবাসন ক্ষেত্রের পরামর্শদাতা সংস্থা অ্যানারকের এক সমীক্ষায় দাবি, গৃহ ঋণের সুদের হার যদি আরও মাথা তোলে এবং তা ৯.৫% পার করে, তা হলে ব্যাহত হতে পারে বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত। বস্তুত, এই আশঙ্কার কথা অনেক দিন ধরে শোনাচ্ছে আবাসন সংস্থাগুলি।

সম্প্রতি ৫২১৮ জন ক্রেতা বা সম্ভাব্য ক্রেতাকে নিয়ে অনলাইন সমীক্ষা চালিয়েছিল অ্যানারক। যা বলছে, মাঝারি থেকে উঁচু দামের ফ্ল্যাট, বিশেষত তিন কামরার দিকেই আকর্ষণ বেশি অধিকাংশের। ৫৯ শতাংশের পছন্দ ৪৫ লক্ষ থেকে ১.৫ কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট। এর মধ্যে ৪৫-৯০ লক্ষের দিকে ঝোঁক ৩৫ শতাংশের। বাকি ২৪% কিনতে চান ৯০ লক্ষ থেকে ১.৫ কোটির ফ্ল্যাট। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারির একাধিক ঢেউ পার করে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও কম দামি ফ্ল্যাটের সম্ভাব্য ক্রেতাদের আর্থিক হাল যে ফেরেনি, তা স্পষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। এই সমীক্ষাতেও ব্যতিক্রমী কিছু উঠে আসেনি। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ির বাজারে ৪০ লক্ষ টাকার কম দামের ফ্ল্যাটের চাহিদা ৪০% হলেও, গত জানুয়ারি-জুনে তা নেমেছে ২৫ শতাংশে। উল্টো দিকে সুদের হার বাড়লেও আঘাত লাগেনি দামি ফ্ল্যাটের চাহিদায়।

তবে এর পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ (৬৬%) জানাচ্ছেন, উঁচু মূল্যবৃদ্ধির জেরে তাঁদের উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ কমছে। সুদের হার আরও বাড়লে এ বার তা ধাক্কা দিতে পারে বাড়ির বাজারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘এখন গৃহ ঋণের গড় সুদ মোটামুটি ৯.১৫%। তা যদি আরও বাড়ে, বিশেষত ৯.৫% পার করে, তবে বাড়ি বিক্রিতে তা বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ৯৮% উত্তরদাতা এমনটাই মনে করছেন।’’

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, মাঝে কমার লক্ষণ দেখা গেলেও জুলাইয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার এক লাফে ৭.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে। মূলত আনাজ এবং খাবারদাবাদের দাম বৃদ্ধির ফলে। অধিকাংশ আর্থিক এবং মূল্যায়ন সংস্থাই আগামী কয়েক মাসে দাম কমার তেমন সম্ভাবনা দেখছে না। আর মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে যে সুদ বাড়ানোর রাস্তা খোলা রাখা হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে রেখেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও। ফলে পরিস্থিতির দিকে আপাতত তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে আবাসন শিল্পকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE