E-Paper

প্রার্থনার সময়ে অসুস্থ দুই ছাত্র, অনলাইন ক্লাসের দাবি

মঙ্গলবার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে, শ্রম দিবসের প্রাক্কালে বিশেষ প্রার্থনা চলাকালীন দুই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানান অভিভাবকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ০৫:১০

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও এখন শহরের কিছু স্কুল খোলা। ওই স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়বে তাদের নির্ধারিত সময়ে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষে। এই সময়ে স্কুলগুলি ক্লাসের সময় কমালেও কেন পুরো গরমের ছুটি দিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, গরমে বাড়ি ফিরে তাঁদের ছেলেমেয়েরা অসুস্থ বোধ করছে। বিশেষ করে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে প্রখর রোদে কাহিল হয়ে পড়ছে অনেকেই।

মঙ্গলবার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে, শ্রম দিবসের প্রাক্কালে বিশেষ প্রার্থনা চলাকালীন দুই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানান অভিভাবকেরা। অসুস্থ দুই পড়ুয়াকে স্ট্রেচারে করে সিক রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি স্কুল ছুটির পরে জানাজানি হতেই অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। সকালের ওই প্রার্থনায় উপস্থিত এক ছাত্র বলে, ‘‘শ্রম দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রার্থনা শুরু হয়েছিল। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ শুনতে পেলাম, কয়েক জন কিছু বলাবলি করছে। শিক্ষকেরা ছুটে এলেন। দেখলাম, দু’জন ছাত্রকে স্ট্রেচারে করে সিক রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’

ঘটনাটি জানাজানি হতেই অভিভাবকেরা প্রশ্ন তোলেন, কেন এই অসহনীয় গরমে স্কুল খুলে রাখা হয়েছে? স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরে পড়ুয়াদের অনেকেই অসুস্থ বোধ করছে। এক অভিভাবক বলেন, ‘‘আমার ছেলে জল খেতে ভুলে যায়। এই গরমে ওর জল খাওয়া কম হচ্ছে বলে নানা শারীরিক অসুবিধা হচ্ছে। অসুস্থ হলে সেই দায় কি স্কুল নেবে? এই পরিস্থিতিতে এখনই গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া উচিত।’’

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে ৭টায় প্রার্থনা হচ্ছিল। তখন সে রকম চড়া রোদ ছিল না। ছাউনির নীচে প্রার্থনা হয়। এই ঘটনা গরমের জন্য ঘটেনি। সারা বছরই নানা কারণে প্রার্থনা চলাকালীন পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দু’জনেই সুস্থ হয়েছে।’’ প্রধান শিক্ষক জানান, গরমের কারণে স্কুলের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।

অভিভাবকদের দাবি, এই গরমে স্কুলের সময় কমালেও সমস্যার সমাধান হবে না। অনেক স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে এনে পুরোটাই অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। অফলাইন ক্লাস বন্ধ করে অনলাইনে ক্লাস করানোর দাবি জানাচ্ছেন তাঁরাও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

School students St Xaviers Heat Wave Sick Online Classes

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy