Advertisement
০১ ডিসেম্বর ২০২৩

চাহিদা বাড়ন্ত সব ঋণেরই, তোপে কেন্দ্র 

প্রশ্ন উঠেছে, শুধু গাড়ি শিল্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ায় যদি ১০ লক্ষ মানুষের কাজ যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, তা হলে বাকি সব ক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা দিলে পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছতে পারে? 

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০১
Share: Save:

শুধু গাড়ি বা আবাসন নয়। অর্থনীতির গতি কমার ছবি এ বার বাকি সব ক্ষেত্রেই ফুটে উঠতে শুরু করল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, খনি থেকে জ্বালানি, বস্ত্র থেকে বিদ্যুৎ— প্রায় সব ক্ষেত্রে চলতি অর্থবর্ষের শুরু থেকেই ঋণ নেওয়া কমতে শুরু করেছে। এপ্রিল থেকে জুনে ভারী শিল্পের ঋণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৬% কমেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, শুধু গাড়ি শিল্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ায় যদি ১০ লক্ষ মানুষের কাজ যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, তা হলে বাকি সব ক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা দিলে পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছতে পারে?

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘শিল্প সংস্থাগুলি সমস্যায়। কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। তার পরেও বিজেপি সরকার মৌন। দেশের অর্থনীতির এই শ্লথগতির জন্য কে দায়ী?’’ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ‘‘পরিসংখ্যানে কারচুপি করে, বাস্তব অস্বীকার করে সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়া যাবে না।’’

গাড়ি বিক্রি কমেছে। কমছে গাড়ি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও। সেই সঙ্গে ১৮টির মধ্যে ১৬টি শিল্প ক্ষেত্রেই ঋণ কমেছে। এর মধ্যে যেমন খনি, সড়ক, বিদ্যুৎ, নির্মাণের মতো পরিকাঠামো ক্ষেত্র রয়েছে, তেমনই রয়েছে বস্ত্র, কাগজ, চামড়া, পেট্রোপণ্য, গয়না, ইঞ্জিনিয়ারিং, ইস্পাতের মতো শ্রম-নিবিড় ক্ষেত্র। যেখানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়।

অর্থনীতিবিদদের একাংশের ব্যাখ্যা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমিয়ে শিল্পের জন্য সুদের হার কমানোর পথ তৈরি করলেও ঋণ নেওয়া বাড়েনি। যার অর্থ, সমস্যা সুদের হারে নয়। নতুন লগ্নিতে সদিচ্ছার অভাব। এক শিল্পপতির বক্তব্য, ‘‘বাজারে বিক্রিবাটা হলে তবেই নতুন লগ্নি করার প্রয়োজন থাকে। তখন সুদ চড়া থাকলেও ঋণ নিতে কেউ পিছু হঠে না।’’ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যানেও তা স্পষ্ট।

লগ্নি ও শিল্পকে চাঙ্গা করতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু লারসেন অ্যান্ড টুবরোর চেয়ারম্যান এ এম নায়েক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘মেক ইন ইন্ডিয়া নিয়ে অনেক কথা বলা হলেও, কাজ অনেক বাকি। কেন দেশীয় সংস্থাগুলি এ দেশে উৎপাদনের বদলে আমদানি করতে উৎসুক, তার উত্তর খুঁজতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE