টিকিটের দাম নিয়ে প্রতিযোগিতা ও জ্বালানির দর, এই দুই ধাক্কায় বিমান সংস্থাগুলি বেকায়দায়। এই অবস্থায় খরচ বাঁচাতে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি কৌশল নেওয়া শুরু করেছে সংস্থাগুলি। এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার সময়ে ন্যূনতম (গন্তব্যে পৌঁছনোর ও বাড়তি ৩০ মিনিটের) জ্বালানি নিয়েই উড়ছে তারা।
গত মঙ্গলবার প্রথম ওই পদ্ধতিতে দিল্লি থেকে হায়দরাবাদ পর্যন্ত উড়ান চালিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমান মন্ত্রক বাকি সব সংস্থাকে জানিয়েছে, তারাও অন্য শহর থেকে হায়দরাবাদ যেতে একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবে। বিভিন্ন বিমান সংস্থা সূত্রের বক্তব্য, জ্বালানি কম নিলে বিমানের ওজন কমবে। তাতে তেল পুড়বেও কম। মন্ত্রকের আশা, ভবিষ্যতে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই ও বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেও একই সুবিধা মিলতে পারে।
এখনকার নিয়মে কোথাও যাওয়ার আগে শুধু যাত্রাপথের জ্বালানি নিলেই হয় না বিমানগুলিকে। আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে নিতে হয় গন্তব্যের আকাশে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ওড়ার জ্বালানি। পাশাপাশি, খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে নামতে না পারলে অন্য বিমানবন্দরে পৌঁছনো এবং তার মাথার উপরেও ৩০ মিনিট চক্কর দেওয়ার জ্বালানি সঙ্গে রাখতে হয়। ফলে বিমানের ওজন অনেকটাই বাড়ে। জ্বালানি পোড়েও বেশি।
বিমান মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, যদি ওড়ার কিছুক্ষণ আগেই গন্তব্যের আবহাওয়া ভাল থাকার ব্যাপারে নিশ্চয়তা মেলে, তা হলে কম জ্বালানি নিলেও চলে। তবে এই ব্যবস্থার প্রয়োগ সেই বিমানবন্দরেই সম্ভব যেখানে দু’টি সমান্তরাল রানওয়ে রয়েছে। যাতে একটি ব্যস্ত থাকলে অন্যটিতে নামতে পারে বিমানটি। কিন্তু ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয় ঘটলে? মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রেও একটি শর্ত রয়েছে। কাছাকাছি থাকতে হবে বিকল্প বিমানবন্দর। হায়দরাবাদেই আকাশপথে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে বেগমপেট ও সামসাবাদ বিমানবন্দর। এই জোড়া কারণেই হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে নতুন কৌশলের প্রয়োগ।