E-Paper

জার্মানির চায়ের পেয়ালার দূরত্ব বাড়বে, উদ্বেগে দার্জিলিং

টানা দু’টি ত্রৈমাসিকে জিডিপি সঙ্কুচিত হওয়ায় মন্দার কবলে পড়েছে জার্মানি। দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা শনিবার জানান, জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি দার্জিলিং চা রফতানি হয়।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ ০৫:১৭
An image of Tea Garden

জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি দার্জিলিং চা রফতানি হয়। ফাইল চিত্র।

জার্মানির মন্দার ঢেউ ধাক্কা দিতে পারে দার্জিলিঙে!

সাম্প্রতিককালে দার্জিলিং চায়ের রফতানিতে আঘাত হেনেছিল অতিমারি। সেই ক্ষত শুকনোর আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই চড়া মূল্যবৃদ্ধির কবলে পড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এ বার ওই মহাদেশের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানি মন্দার কবলে পড়ার খবরে নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছে দার্জিলিঙের চা শিল্পমহল। কারণ সেই দেশই এই চায়ের বৃহত্তম ক্রেতা। তাদের মূল নজর থাকে গুণগত মানের দিক থেকে দার্জিলিঙের অন্যতম সেরা ‘সেকেন্ড ফ্লাশ’ চায়ের দিকে। যার উৎপাদন শুরু হবে শীঘ্রই।

টানা দু’টি ত্রৈমাসিকে জিডিপি সঙ্কুচিত হওয়ায় মন্দার কবলে পড়েছে জার্মানি। দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের (ডিটিএ) প্রধান উপদেষ্টা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় শনিবার জানান, জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি দার্জিলিং চা রফতানি হয়। ২০২১ সালে ১১.৫০ লক্ষ এবং ২০২২ সালে ১০.১৫ লক্ষ কেজি চা রফতানি হয়েছিল। এ বারের মরসুমে এমনিতেই উৎপাদন প্রায় ১৫% কম হয়েছে। তার উপরে জার্মানির বাজার ধাক্কা খেলে চাপ বাড়বে।

ইন্ডিয়ান টি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়া জানাচ্ছেন, অতিমারি এবং যুদ্ধের জেরে এমনিতেই দার্জিলিং চায়ের রফতানি ধাক্কা খেয়েছে। তাঁর উদ্বেগ, ‘‘এই ব্যবসা বলতে গেলে আইসিইউ-তে ছিল। এখন জার্মানির মন্দা কফিনে না শেষ পেরেক পুঁতে দেয়!’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘বাজারের অবস্থা খারাপ। সরকারের তরফেও তেমন সহায়তা মেলেনি। চায়ের দাম বাড়ছে না। কিন্তু খরচ বাড়ছে। সব মিলিয়ে পাহাড়ের বাগানগুলির পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’’

অংশুমানের ব্যাখ্যা, চড়া মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইউরোপে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পরে ক্রেতার হাতে বাড়তি টাকা কমেছে। তাই কম দামি চায়ের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। সব মিলিয়ে চায়ের রফতানি যেমন ধাক্কা খাচ্ছে, তেমনই দার্জিলিং চায়ের দামও সে ভাবে উঠছে না। বাজারের এই গতিবিধি স্পষ্ট রফতানি চুক্তি পিছনোতেও। দার্জিলিং চা শিল্পের কর্তাদের দাবি, সাধারণ ভাবে মরসুম শুরুর আগে থেকে রফতানি চুক্তির চল থাকলেও এখন তা হচ্ছে প্রায় মরসুমের সময়ে। ডিটিএ জানিয়েছে, এ বারে এখনও পর্যন্ত ৪.৪০ লক্ষ কেজি চা রফতানি হয়েছে। গত বছরে একই সময়ে ছিল ৬.৭৬ লক্ষ কেজি। ২০২২ সালে মোট ৩০ লক্ষ কেজি দার্জিলিং চা বিশ্ব জুড়ে রফতানি হয়েছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Recession Germany Darjeeling Tea Garden Tea business

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy