অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে মূলধন জোগানোর জন্য বন্ড ছাড়তে গিয়ে ফি বছর অন্তত ৯,০০০ কোটি টাকা সুদ গুনতে হবে ঠিকই। কিন্তু সেই দাওয়াই কাজে দেবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা এবং তার হাত ধরে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে শেয়ার মূলধন জোগানোর সিদ্ধান্তের পক্ষে বুধবার এ ভাবেই সওয়াল করলেন অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন।
তাঁর যুক্তি, ব্যাঙ্ক চাঙ্গা হলে, তাদের পক্ষে ধার দেওয়া সহজ হবে। বাড়বে বেসরকারি বিনিয়োগ আর বৃদ্ধির হারও। সেই সঙ্গে সওয়াল করেছেন ব্যাঙ্ক সংযুক্তির পক্ষেও। মঙ্গলবার কেন্দ্রের ঘোষিত ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেলও। বিবৃতিতে তাঁর দাবি, এটি বিশাল পদক্ষেপ। একই মতের শরিক স্টেট ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ-ও।
কিন্তু বিরোধী দল কংগ্রেস অবশ্য মনে করছে, বন্ড ছেড়ে মূলধন জোগাড় করতে গিয়ে বিপুল ঋণের বোঝা চাপবে কেন্দ্রের ঘাড়ে।
মঙ্গলবারই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে চলতি ও আগামী অর্থবর্ষ মিলিয়ে মোট ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা শেয়ার মূলধন জোগানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জানিয়েছে, তার মধ্যে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা আসবে বাজারে বন্ড বেচে। আর বাকি ৭৬ হাজার কোটি বাজেট বরাদ্দ থেকে।
কিন্তু তখন থেকেই অনেকের প্রশ্ন, অনুৎপাদক সম্পদে ব্যাঙ্কগুলির যা হাল, তাতে বাজারে ওই বন্ড কিনতে সাড়া আদৌ মিলবে তো? এ দিনও সুব্রহ্মণ্যন হিসেব দিয়েছেন, ৭% সুদ ধরলে, বছরে মোট সুদের বোঝা চাপবে ৯,০০০ কোটি মতো। কিন্তু কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার দাবি, এই মুহূর্তে অনুৎপাদক সম্পদের যা হাল, তাতে অন্তত ১০% সুদ না-দিলে, এই বন্ডে কারও আগ্রহী হওয়া শক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy