—প্রতীকী চিত্র।
মোদী সরকার বার বার রফতানি বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে। দাবি করছে, এই ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে দেশ। কিন্তু কেন্দ্রের পরিসংখ্যানই তুলে ধরছে উল্টো ছবি। যা বলছে, গত মাসে ভারতের রফতানি সরাসরি কমেছে ২.৮৩%। এ নিয়ে চলতি অর্থবর্ষে একমাত্র অক্টোবর বাদে প্রতি মাসেই তা মাথা নামাল। নভেম্বরে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে ৩৩৯০ কোটি ডলারের পণ্য। সেই সঙ্গে আমদানিও ৪.৩৩% কমে ৫৪৪৮ কোটি হওয়ার সুবাদে বাণিজ্য ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২০৫৮ কোটি ডলার। কেন্দ্রের অবশ্য আজও দাবি, বিশ্ব অর্থনীতির যা অবস্থা, তাতে ভারতের বাণিজ্যের ছবি যথেষ্ট উজ্জ্বল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পূর্বাভাস বলছে এ বছরে ধাক্কা খাবে বাণিজ্য। আমেরিকা, ইউরোপের মতো বড় বাজারে অর্থনীতি এখন দোলাচলে। রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধও থামার লক্ষণ নেই। এ সবের জেরই টেনে নামিয়েছে ভারতের রফতানিকে। বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এপ্রিল-নভেম্বরে রফতানি কমেছে ৬.৫১% এবং আমদানি ৮.৬৭%। এ দিকে দেশের বাজারে দাম রেকর্ড গড়লেও, নভেম্বরে সোনার আমদানি বেড়েছে (৬.২৪% বেড়ে ৩৪৪ কোটি ডলার)। তবে তেলের ক্ষেত্রে তা কমেছে প্রায় সাড়ে ৮%। এই বাবদ খরচ দাঁড়িয়েছে ১৪৯৩ কোটি ডলার।
রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়োর পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান যোগেশ গুপ্তের দাবি, “সামনেই বড়দিনের উৎসব। কিন্তু তার বরাত অক্টোবরেই শেষ হয়ে গিয়েছে। গত মাসে রফতানি কমার সেটা অন্যতম কারণ। তবে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ সুদ না বাড়ানোয় ও আগামী বছর সত্যিই তা কমালে চাহিদা বাড়বে বলে ধারণা। ফলে রফতানিও বাড়বে বলে আশা।’’ তবে নিপা এক্সপোর্টসের ডিরেক্টর রাকেশ শাহের কথায়, “জানুয়ারিতে রফতানির যে সব বরাত ছিল, তার অনেকগুলিই আপাতত স্থগিত রাখতে বলেছেন ক্রেতারা। আমেরিকায় সুদ কমলে অবস্থা ফেরে কি না, নজর সে দিকেই।’’
বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়ালের অবশ্য দাবি, বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ হলেও, সেই তুলনায় ভারতের রফতানির পরিসংখ্যান যথেষ্ট ভাল। তাঁর বক্তব্য, বহু দেশেই জিডিপি তেমন বেশি নয়। জিনিসপত্রের দাম কমলেও চড়া সুদের জমানায় ইতি পড়েনি। তার উপরে ভূ-রাজনৈতিক টানাপড়েনের সুরাহার কোনও সম্ভাবনাও চোখে পড়ছে না। উল্টে তা বাড়ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত নিজের জায়গা কিছুটা হলেও ধরে রাখতে পেরেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy