মহড়া: ঘোষণা মধ্যরাতে। তার আগে নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।
আবাসনের উপর ১২ শতাংশের বদলে ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করেছে কেন্দ্র। তবে জমির দামের উপর এক তৃতীয়াংশ ছাড় দেওয়ায় বাস্তবে জিএসটির হার দাঁড়াচ্ছে ১২ শতাংশ। সব মিলিয়ে জিএসটি-কে খলনায়কই বলছে আবাসন শিল্প।
নির্মাণ সংস্থাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের দাবি, জিএসটি চালু হলে এক লাফে আবাসনের দাম অনেকটাই বাড়বে। নোট সঙ্কটের পরে ফের দামের চাপে চাহিদা তলানিতে ঠেকতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। ক্রেডাই প্রেসিডেন্ট জক্ষয় শাহ বলেন, নিম্নবিত্তদের জন্য তৈরি আবাসনের ক্ষেত্রে ছাড়ের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছে নির্মাণ শিল্পমহল।
পুরোনো কর কাঠামো ও নয়া কর কাঠামোর মধ্যে ফারাক গড়ে দিচ্ছে জমির দামের উপর ছাড়। ক্রেডাই-এর অন্যতম কর্তা সুশীল মোহতা জানান, পুরোনো কর ব্যবস্থায় নির্মীয়মান ফ্ল্যাটের দাম বাবদ যে টাকা ধার্য হত, তার মধ্যেই ধরা থাকত জমির দামও। সে বাবদ মোট দামের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ টাকা করের আওতার বাইরে থাকত। নয়া ব্যবস্থায় মোট দামের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ জমির দাম ধরা হচ্ছে। অর্থাৎ করের বোঝা বাড়বেই। বিশেষত, দামি বাড়ির ক্ষেত্রে সমস্যাটা আরও বেশি। কারণ উচ্চবিত্ত প্রকল্পে জমির দাম সাধারণত বেশি হয়। মূলত শহরের প্রাণকেন্দ্রের কাছাকাছি তৈরি হয় দামি আবাসন। যেখানে জমির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেহাতই কম। ফলে জমির দাম আকাশছোঁয়া হয়।
আরও পড়ুন: আরও কমলো স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ
পুরোনো কর ব্যবস্থায় পরিষেবা কর নেওয়ার সময় মোট দাম থেকে ৭০ থেকে ৭৫% বাদ দেওয়া হতো। এক কোটি টাকার কম দামের বাড়িতে ৭৫% বাদ দেওয়া হতো। এক কোটি টাকার বেশি দামের বাড়িতে ৭০% বাদ দেওয়া হতো।
ধরে নেওয়া যাক একটি ফ্ল্যাটের দাম ৫ লক্ষ টাকা। তার ৭৫ শতাংশ বাদ দিলে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। বাকি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার উপরে ১৫ শতাংশ হারে পরিষেবা কর নেওয়া হল। অর্থাৎ মোট দামের উপর কার্যত ৩.৭৫ শতাংশ পরিষেবা কর নেওয়া হল। করের পরিমাণ দাঁড়াল ১৮,৭৫০ টাকা। জিএসটি চালু হলে ১২ শতাংশ হারে পাঁচ লক্ষ টাকার উপরে কর নেওয়া হবে। করের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ হাজার টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy