—প্রতীকী ছবি।
চড়া মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে একটা সময় পর্যন্ত সুদের হার ক্রমাগত বাড়িয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতেও ঋণ এবং আমানতের সুদ বেড়েছে। বণিকসভা ফিকি এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) এক সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই অবস্থায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি সুদের মেয়াদি আমানতে তহবিল সরানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সাধারণ আমানতকারীদের মধ্যে। যা ব্যাঙ্কগুলিকে কিছুটা চাপে ফেলেছে।
সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সুদ কম। সেখান থেকে মেয়াদি আমানতে তহবিল সরতে থাকলে ব্যাঙ্কগুলির পুঁজি সংগ্রহের খরচ বাড়ে। কমে মার্জিন (ঋণ থেকে আয় এবং পুঁজি সংগ্রহের খরচের ব্যবধান)। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘সুদ বৃদ্ধির ফলে মেয়াদি আমানতের তহবিল বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে সমস্ত ব্যাঙ্কে সমীক্ষায় চালানো হয়েছিল তাদের ৫৭% জানিয়েছে, মোট আমানতের নিরিখে সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টের অনুপাত কমেছে। গতি বেড়েছে মেয়াদি আমানতের।’’
সমীক্ষায় আরও জানানো হয়েছে, সুদের হার মাথা তুললেও ঋণের রুচিতে ভাটা পড়েনি। সেটা আবার ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে স্বস্তির। গত ছ’মাসে যে সমস্ত ক্ষেত্রে ঋণ বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী সেগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পরিকাঠামো, বস্ত্র, রাসায়নিক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ইস্পাত। ৭৫% ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত ছ’মাসে ঋণের নিরিখে তাদের অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) অনুপাত কমেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, এনপিএ কমার পিছনে অন্যতম কারণ তা মুছে ফেলে হিসাবের খাতা পরিষ্কার করা। কিন্তু সেই মুছে ফেলা ঋণ উদ্ধারের অনুপাত মোটেই সন্তোষজনক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy