দিনে অন্তত ১২-১৪ ঘণ্টা নাগাড়ে কাজ। দমবন্ধ করা টেনশন। প্রায় সারাক্ষণ মুখের সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়া গ্রাহক। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়ে প্রায় নাওয়া-খাওয়া ভোলার জোগাড় হয়েছিল ব্যাঙ্কের কর্মীদের। বাতিল হয়েছিল ছুটি। এখন ৯৯.৩% বাতিল নোট ঘরে ফেরার রিপোর্ট সামনে আসার পরে তাঁদের অনেকেরই আক্ষেপ, ‘‘তবে কি ভস্মে ঘি ঢাললাম আমরা?’’
এক ব্যাঙ্ক কর্মী যেমন সরাসরি বলছেন, ‘‘তখন মনে হয়েছিল দেশের কাজ করছি। লড়াইয়ে নেমেছি দুর্নীতির সঙ্গে। আমাদের বলাও হয়েছিল সে রকম। তাই কিচ্ছুটি না বলে তখন দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করেছি। ছুটি বাতিল মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, যেন ঠকানো হল আমাদের। পুরো পরিশ্রম জলে।’’
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই ১২ নভেম্বর ছিল মাসের দ্বিতীয় শনিবার। তাই সে দিন ও পরের দিন রবিবার ব্যাঙ্কে ছুটি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়। সেই শুরু। তার পরে মাস দেড়েক দিন-রাত গুলিয়ে যাওয়ার জোগাড়। অত্যধিক চাপে অসুস্থও হয়ে পড়েন কেউ কেউ। তাই তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘এত করে শেষে এই!’’