Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
CAG

অর্থ মন্ত্রকের কাছে পুঁজির হিসেব তলব

সূত্রের খবর, ২০১৬-১৭ সাল থেকে এখনও পর্ষন্ত জোগানো সেই মূলধনের পারফরম্যান্স অডিট করতে অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক পরিষেবা দফতরের কাছে খুঁটিনাটি তথ্য চেয়ে পাঠাল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:৪০
Share: Save:

গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে বিপুল মূলধন ঢেলেছে কেন্দ্র। কখনও তাদের আর্থিক ভিতকে শক্তিশালী করে ঋণ প্রদানে উৎসাহ দিতে, কখনও বা নিয়ন্ত্রকের বিধি মেনে অংশীদারি বাড়াতে। সূত্রের খবর, ২০১৬-১৭ সাল থেকে এখনও পর্ষন্ত জোগানো সেই মূলধনের পারফরম্যান্স অডিট করতে অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক পরিষেবা দফতরের কাছে খুঁটিনাটি তথ্য চেয়ে পাঠাল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। যার মানে, ওই পুঁজি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে প্রত্যেকের আর্থিক প্রয়োজন অনুযায়ী বিলি-বণ্টন হয়েছে কি না, কিসের ভিত্তিতে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেই তহবিল তাদের ঋণ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায় কী ভাবে কাজে লেগেছে, তাতে হিসেবের খাতায় ও লগ্নিকারীর আয়ের ক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হয়েছে কি না, হিসেবের খাতার ঝুঁকি কমেছে কি না— এই সমস্ত খতিয়ে দেখবে তারা।

গত ১৪ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা ঢেলেছে কেন্দ্র। তাতে যে ঋণের সঙ্গে অনুৎপাদক সম্পদের অনুপাতের বিরাট উন্নতি হয়েছে এমন নয়। উল্টে এই সময়ে একাংশের আর্থিক সঙ্কট প্রকট হয়েছে। ব্যাঙ্কঋণ না-পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহু ক্ষেত্রে। তার উপরে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ার ভয় ধরিয়েছে অতিমারি। এই অবস্থায় ক্যাগের তথ্য তলব তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। বিশেষত এর আগে ২০১৭ সালের রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে যেহেতু ব্যাঙ্কে সরকারি পুঁজি বণ্টনের ক্ষেত্রে কিছু গরমিল পেয়েছিল সিএজি।

তাদের সেই রিপোর্টে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, অনেক ব্যাঙ্ক প্রয়োজন এবং যোগ্যতার তুলনায় বেশি মূলধন পেয়েছে। কারও আবার যতটা পেলে উপকার হত, পায়নি। এমনকি কিসের ভিত্তিতে কে, কেন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেল, তার রিপোর্টের হদিশই মেলেনি কিছু ক্ষেত্রে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE