পেট্রল ও ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক সদ্য বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ঠিক ১০ দিনের মাথায় লিটার প্রতি তা আরও ৮ টাকা করে বাড়ানোর পথ খুলে ফেলল তারা। সোমবার লোকসভায় অর্থবিলের সংশোধনী হিসেবে এই প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিনা বিতর্কে তা পাশও হয়ে যায়। বিরোধীদের বক্তব্য, অর্থনীতির ঝিমুনির পরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে শিল্পমহল থেকে আর্থিক ত্রাণের দাবি উঠলেও সরকারের কোষাগারের অবস্থা সুবিধের নয়। সে কারণে বাড়তি শুল্ক চাপিয়ে সেই ত্রাণের টাকা জোগাড় করার পথই খুলে রাখতে চাইছে কেন্দ্র।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও শ্লথ হচ্ছে। আর গত এক মাস ধরে জেঁকে বসেছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। যার জেরে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই নিম্নমুখী। শেয়ার বাজারও তা-ই। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দরেও বিপুল পতন হয়েছে। দু’মাস আগেও যে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৫৫ ডলারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করত, তা-ই এখন এসে ঠেকেছে ২৫-২৬ ডলারে। এ দিন রাতের দিকে যদিও ওই অশোধিত তেলের দাম ছিল ২৭.২৩ ডলার।
অনেকের বক্তব্য, শেয়ার কিংবা সুদ নির্ভর লগ্নি প্রকল্প, কোথাও এখন টাকা রেখে শান্তি নেই। চাকরির বাজারেও অনিশ্চয়তা। এমন হাজারো খারাপ খবরের মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা স্বস্তি আনতে পারত তেলের দাম। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দর কমার সুবিধা সাধারণ ক্রেতাদেরও দিত সরকার। কিন্তু অভিযোগ, উৎপাদন শুল্ক বাড়ার ফলেই সম্প্রতি টানা কয়েক দিন এক জায়গায় আটকে রয়েছে পেট্রল-ডিজেল। আজ, মঙ্গলবারও কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে পেট্রল ও ডিজেলের দর যথাক্রমে ৭২.২৯ টাকা এবং ৬৪.৬২ টাকা।
বিরোধীদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে জ্বালানির দাম বাড়তে সময় লাগে না। কিন্তু কমলে সাধারণ মানুষের হাতে সেই অনুপাতে সুবিধা পৌঁছয় না। ঠিক যা হচ্ছে এখন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা টুইট করেছেন, ‘‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, এ ভাবে সাধারণ মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেওয়া লজ্জাজনক, অমানবিক এবং হৃদয়হীন। সাধারণ মানুষ জীবন-জীবিকা হারাচ্ছে। আর বিজেপি সরকার অশোধিত তেলের দামের সুযোগ নিচ্ছে। মানুষকে খাদের ধারে ঠেলে দেবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy