জেটলি। রবিবার। ছবি: পিটিআই।
বিভিন্ন সংস্থার পুরনো আর্থিক লেনদেনে বসা কর নিয়ে বিতর্ক মেটাতে বাজেটেই রফাসূত্র এনেছে কেন্দ্র। রবিবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দিলেন, সেই রফা-প্রস্তাব জোর করে কোনও সংস্থার উপর চাপিয়ে দেবেন না তাঁরা। বরং ইচ্ছে অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাই।
পুরনো আর্থিক লেনদেনের জন্য আয়কর দফতর ভোডাফোন ও কেয়ার্ন এনার্জির মতো সংস্থাকে বার বার করের নোটিস পাঠানোয় বিতর্ক দানা বেঁধেছে দেশ-বিদেশের শিল্পমহলে। এই বিতর্ক মেটাতে বাজেটে কেন্দ্রের রফা-প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, বকেয়া করের মূল অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে সংস্থাকে। তবে মকুব করা হবে সুদ ও জরিমানা। এ প্রসঙ্গে জেটলি এ দিন জানান, রফায় পৌঁছতে এটি শুধুই একটি প্রস্তাব। সংস্থাগুলি তা মেনে নেবে নাকি ওই দাবির বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। এ জন্য কোনও ভাবেই তাদের উপর জোর খাটানো বা ভয় দেখানো হবে না। ১ জুন এই সুযোগ খুলছে কেন্দ্র।
অর্থমন্ত্রীর দাবি, যদি কোনও সংস্থা মনে করে যে তারা মামলা চালিয়ে যাবে, তা হলেও কেন্দ্রের আপত্তি নেই। সে ক্ষেত্রে চূড়ান্ত রায়ই স্থির করে দেবে সেই করের ভবিষ্যৎ। সংশ্লিষ্ট সূত্র অবশ্য বলছে, নিজেদের স্বার্থেই এখন একাকালীন রফায় পৌঁছতে চাইছে সরকার। কারণ, এ নিয়ে সালিশি-সহ বিভিন্ন আদালতে মামলা চালিয়ে যাওয়া সময়সাপেক্ষ তো বটেই। পাশাপাশি, এর সঙ্গে লগ্নির গন্তব্য হিসেবে ভারতের ভাবমূর্তির প্রশ্নও জড়িয়ে।
ভোডাফোন ও কেয়ার্ন এনার্জিকে নোটিস পাঠানো নিয়ে অবশ্য আয়কর দফতরের পাশেই দাঁড়িয়েছেন জেটলি। তাঁর দাবি, ‘‘সংস্থাগুলি পুরনো কর মিটিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া জারি আছে বলেই তা চোকানোর নোটিস যাচ্ছে। এটা না-পাঠালে সংশ্লিষ্ট অফিসারকেই হয়তো আগামী দিনে সিবিআই বা ক্যাগ-এর প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।’’ জেটলির অবশ্য দাবি, নোটিস পাঠানো এবং তা কার্যকর করা, দু’টি আলাদা বিষয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy