প্রতীকী ছবি।
ভারতে পেট্রল-ডিজেলের চড়া দরের জন্য বিশ্ব বাজারে দামি অশোধিত তেলই দায়ী— কেন্দ্রের এই দাবি কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ল শুক্রবার।
বিশ্ব বাজারে দাম কমাতে তেল রফতানিকারী দেশগুলির গোষ্ঠী ওপেক-এর কাছে উৎপাদন বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু আর্জিতে সাড়া না-দিয়ে এপ্রিলেও অশোধিত তেলের উৎপাদন ছাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক। সেই সঙ্গে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ওই গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী আবদুল-আজিজ বিন সলমন বলেছেন, গত বছর সস্তায় অশোধিত তেল কিনেছিল ভারত। দেশে তেলের দাম কমাতে সেই মজুত এখন ব্যবহার করুক। তার পরে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তা হলে কি সেই তেল মজুত করে রেখেছে কেন্দ্র? চড়া দরে যখন দেশের নাগরিকদের নাভিঃশ্বাস উঠছে, তখন তা ব্যবহার করা হচ্ছে না কেন?
করোনা সঙ্কট কাটিয়ে তেলের চাহিদা বাড়ছে দাবি করে ওপেকের কাছে উৎপাদন বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছিলেন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আর্জি খারিজ করে সলমনের জবাব, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত সরল। বন্ধুকে বলব, গত এপ্রিল-জুনে সস্তায় কেনা তেলের কিছুটা এখন কাজে লাগান।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় প্রধানই গত বছর জানিয়েছিলেন, এপ্রিল-মে মাসে গড়ে ব্যারেল প্রতি ১৯ ডলারে কেনা ১.৬৭ কোটি ব্যারেল তেল অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটকের তিনটি ভান্ডারে মজুত রয়েছে। এখন যা ৬৯ ডলারেরও বেশি।
এর আগে প্রাক্তন তেলমন্ত্রী এম বীরপ্পা মইলি বলেছিলেন, প্রথম ইউপিএ সরকার আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য ১০ দিনের তেল মজুত
রাখতে অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটকে মজুত ভান্ডার গড়ে। আরও ১২ দিনের তেল মজুত রাখতে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার আরও ভান্ডার গড়ার পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু মোদী সরকার কিছুই করেনি। উল্টে আমেরিকায় ভান্ডার ভাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। দেশে তেল ও রান্নার গ্যাসের লাগামছাড়া দর নিয়ে এ দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর তোপ, আমজনতার দুর্দশা বাড়িয়ে দু-তিন জন শিল্পপতিকে সুরাহা দিচ্ছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy