আগামী চার-পাঁচ বছরে দেশে প্রায় ৫০,০০০ বৈদ্যুতিক বাস রাস্তায় নামাতে চায় কেন্দ্র। লক্ষ্য, দূষণ কমানো এবং তেলের আমদানি খরচ বাঁচানো। প্রতীকী ছবি।
আগামী চার-পাঁচ বছরে দেশে প্রায় ৫০,০০০ বৈদ্যুতিক বাস রাস্তায় নামাতে চায় কেন্দ্র। লক্ষ্য, দূষণ কমানো এবং তেলের আমদানি খরচ বাঁচানো। কিন্তু শিল্পের অভিযোগ, যারা বাস তৈরি করে সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলিকে সরবরাহ করে, তাদের ঋণ দিতেই আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাঙ্কগুলি। ফলে পুঁজি জোগাড়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছে অনেকে। কঠিন হচ্ছে বরাত পূরণ। এমন চললে কেন্দ্রের পরিবেশবান্ধব গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ার উদ্যোগ ধাক্কা খেতে পারে, মনে করছে পরিবহণ শিল্প। এক সরকারি কর্তার কথায়, এই অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে সরকারি ভাবে ভারী শিল্প মন্ত্রক মন্তব্য করেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র বৈদ্যুতিক গাড়ি ও বাসে জোর দিলেও দেশের বেশিরভাগ জায়গায় সেগুলির চার্জিং স্টেশনের মতো পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি তেমন ভাবে। ফলে এক দিকে বেশি সংখ্যক গাড়ি রাস্তায় নামলে সঙ্কট তৈরি হতে পারে। অন্য দিকে এই পরিকাঠামোর সমস্যাই কাঁটা হচ্ছে বাস নির্মাতা সংস্থাগুলির ঋণ জোগাড়ের পথে। তাঁরা বলছেন, একটি বৈদ্যুতিক বাস তৈরির খরচ প্রায় ১.২৫ কোটি টাকা। যা ডিজ়েল বাসের প্রায় পাঁচ গুণ। কোনও কারণে নির্মাতা সংস্থা ডিজ়েল বাসের ঋণ শোধ করতে না-পারলে ব্যাঙ্ক তা হাতে নিয়ে অন্য কোনও জায়গায় সহজেই বিক্রি করে বকেয়া টাকা তুলে নেয়। কিন্তু পরিকাঠামোর ঘাটতি থাকায় বৈদ্যুতিক বাস বিক্রি করে বকেয়া আদায় তাদের পক্ষে কঠিন। তাই এ ক্ষেত্রে ধার দিতেও অনিচ্ছুক অনেক ব্যাঙ্ক। তার উপরে, বেশিরভাগ সময় সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলি খরচের চেয়ে কম ভাড়ায় বাস চালায়। সেই কারণেও বকেয়া মেটানোর ক্ষেত্রে দেরি হয় তাদের।
বৈদ্যুতিক বাস নির্মাতা সুইচ মোবিলিটির কর্তা মহেশ বাবুর অভিযোগ, সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলির জন্য বরাত পাওয়া গাড়ি নির্মাতাদের তাই ঋণ দিতে আগ্রহ দেখায় না ব্যাঙ্ক। এই ঋণকে চড়া ঝুঁকির তালিকাতেও রাখে। বহু ক্ষেত্রে বাস সংস্থাগুলির থেকে সিকিয়োরিটি হিসেবে টাকা চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, এই সমস্যার অন্যতম সমাধান বৈদ্যুতিক গাড়ির পোক্ত পরিকাঠামো তৈরিতে জোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy