ব্যবসা বছরে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে জিএসটি-তে নথিভুক্ত হওয়া জরুরি নয়। তবে তা ২০ লক্ষ পেরিয়ে গেলে বাধ্যতামূলক। উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যের জন্য সেই গণ্ডি টানা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকায়। বছরে ব্যবসা ওই নির্দিষ্ট অঙ্কের থেকে কম হলেও অবশ্য কেউ চাইলে জিএসটি নম্বরের জন্য নাম লেখাতে পারেন। তবে আজ যে-ব্যবসায়ী ২০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেন না বলে জিএসটি-তে নথিভুক্ত হচ্ছেন না, কাল তাঁর ব্যবসা বাড়লে আইন মানতে সেই পথে হাঁটতেই হবে। এ ছাড়া, শুধু তো রেজিস্ট্রেশন করা বা না-করা নয়, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও কিছু নিয়ম। ধরুন, নথিভুক্ত হতে গিয়ে ফর্ম ভরতে কোনও ভুল হয়ে গেল। সেটাও শোধরানো দরকার। আসুন চট করে বিষয়গুলো দেখে নিই।
সময়সীমা
প্রথমেই দেখব জিএসটি আইন অনুযায়ী কোথায়, কত দিনের মধ্যে জিএসটি নথিভুক্ত হতে হয় ব্যবসায়ীদের—
• জিএসটি-র আওতায় নথিভুক্ত হতে হয় জিএসটি-র পোর্টালে ঢুকে।
• কোনও ব্যবসায়ীর নথিভুক্তির দায়বদ্ধতা তৈরি হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শর্ত ও পদ্ধতি অনুসরণ করে সেই প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হয়।
• অনিয়মিত করযোগ্য ব্যক্তি ও অনাবাসী করযোগ্য ব্যক্তিকে তাঁদের ব্যবসা শুরু করার অন্তত ৫ দিন আগে নথিভুক্তির জন্য আবেদন করতে হয়।
• একই রাজ্যে একাধিক বাণিজ্য-ধারা (মাল্টিপ্ল বিজনেস ভার্টিকাল্স) থাকলে, প্রতিটির জন্য ইচ্ছানুযায়ী আলাদা আলাদা জিএসটি নথিভুক্তি নেওয়া যেতে পারে।
• কেউ চাইলে বার্ষিক ব্যবসার সীমা ২০ লক্ষ (উত্তর-পূর্বের কিছু রাজ্যে ১০ লক্ষ) অতিক্রম না-করলেও নথিভুক্ত হতে পারেন।
• সমস্ত জিএসটি নথিভুক্তিই কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ।
ভুল-ভ্রান্তি
এ বার আসব ভুল শোধরানোর কথায়। নথিভুক্তির সময়ে একটি ফর্ম ভরতে হয় ব্যবসায়ীদের। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যদি কোনও ভুল হয়ে যায়, তা শুধরে নেওয়ার উপায় রয়েছে। এ জন্য ফের জিএসটি পোর্টালে ঢুকে তা ঠিক করতে হবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য ফের জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে।
সার্টিফিকেট
একবার যদি জিএসটি-তে নথিভুক্তির সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা হয়, তবে ব্যবসায়ীর আজীবন সেটিই বজায় থাকবে। যতক্ষণ না সেটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হচ্ছে বা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অথবা সরকার কোনও কারণে তা ফিরিয়ে নিচ্ছে।
জিএসটিআইএন
জিএসটি-র আওতায় ব্যবসা করার ক্ষেত্রে জিএসটিআইএন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নম্বর। প্রত্যেক পণ্য-পরিষেবা সরবরাহকারীকে তাঁর প্যান এর উপর ভিত্তি করে ১৫ সংখ্যার এই জিএসটি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (জিএসটিআইএন) দেওয়া হয়। পণ্য-পরিষেবা কর ব্যবস্থায় নথিভুক্ত হওয়ামাত্রই তিনি পান এটি। যার উপর ভিত্তি করে কর ও রিটার্ন
জমা দিতে হয়।
লেখক আইনজীবী ও কর বিশেষজ্ঞ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy