বিদেশি বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে কোড ভাগাভাগির জন্য জোট বাঁধতে এ বার থেকে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে না। শুধু গাঁটছড়া বাঁধার ৩০ দিন আগে তা জানাতে হবে কেন্দ্র ও বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ)। বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে যাত্রীদের কিছুটা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে শর্তসাপেক্ষে এই আইন শিথিল করল ডিজিসিএ।
কোড ভাগাভাগি হল বিমান পরিবহণের ভাষায় ‘কোড-শেয়ারিং’। দেশি ও বিদেশি, প্রতিটি বিমান সংস্থার নিজস্ব একটি কোড থাকে। যেমন, ভারতে এয়ার ইন্ডিয়ার কোড ‘এআই’, ইন্ডিগোর ‘৬ই’, জেট-এর ‘৯ডব্লিউ’, স্পাইসজেট-এর ‘এসজি’। জোট বেঁধে নিজেদের এই কোডই শেয়ার করে বিমান সংস্থাগুলি। আর দুই সংস্থার মধ্যে কোড-শেয়ারিং হলে সুবিধা হয় যাত্রীদের।
যেমন, ইন্ডিগোর সঙ্গে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের যদি কোড শেয়ারিং সংক্রান্ত চুক্তি হয়, তা হলে কলকাতা থেকে কোনও যাত্রী একটি টিকিট কেটেই দিল্লি ঘুরে লন্ডন যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে ‘৬ই’ কোডের টিকিট দেবে ইন্ডিগো। তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট যাত্রী যেমন দিল্লি যাবেন, তেমনই আবার সেই টিকিটেই দিল্লি থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে চেপে যেতে পারবেন লন্ডন। এমনকী সংস্থা দু’টির মধ্যে কোড-শেয়ারের জোট থাকায় কলকাতা থেকেই যাত্রী নিজের মালপত্র সরাসরি লন্ডনে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দিল্লিতে তাঁর মালপত্র ইন্ডিগোর বিমান থেকে নামিয়ে ব্রিটিশ এয়ারের বিমানে তুলে দেওয়ার দায় নেবে বিমান সংস্থাই। আবার ফেরার সময়ে একই ভাবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ‘বিএ’ কোড ব্যবহার করে যাত্রী চলে আসতে পারবেন কলকাতায়।
তবে ডিজিসিএ-র শর্ত, এই কোড শেয়ার শুধু সেই সব দেশের বিমান সংস্থার সঙ্গেই করা যাবে, যাদের সঙ্গে ভারতের বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। ভারতের সঙ্গে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের এই চুক্তি রয়েছে। যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট একটি দেশের বিমান সংস্থা যেমন ভারতে উড়ান চালায়, তেমন ভারতের কোনও সংস্থাও সেই দেশে উড়ান চালাতে পারে। প্রতি সপ্তাহে দু’দেশের মধ্যে কতগুলি উড়ান চলবে তা-ও নির্দিষ্ট করে বলা থাকে চুক্তিতে। কাজেই ডিজিসিএ-র শর্তের অর্থ, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে এ দেশের ওই চুক্তি না-থাকলে চাইলেও ইন্ডিগো ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সঙ্গে কোড-ভাগাভাগির গাঁটছড়া বাঁধতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy