Advertisement
০২ মে ২০২৪
Crude Oil

তেল ও সুদে সতর্কবার্তা উপদেষ্টার

মর্গ্যান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদেরা বলেছেন, চলতি খাতে ঘাটতি জিডিপি-র ২.৫% থাকা স্বস্তিদায়ক। কিন্তু তেলের দাম টানা চড়া থাকলে ওই ঘাটতি সেই লক্ষণরেখা পেরোতে পারে।

An image of oil barrels

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:৫৮
Share: Save:

ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পরেই বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) দাম ব্যারেলে ৯৭ ডলারে উঠেছিল। হালে কিছুটা নেমে তা ঘোরাফেরা করছে ৮৫-৮৬ ডলারে। তবে তাতে ভারতের মতো তেলে আমদানি নির্ভর দেশের যে নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ নেই, তা স্পষ্ট হল উপদেষ্টা ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক মর্গ্যান স্ট্যানলির রিপোর্টে। তাতে বলা হয়েছে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অশোধিত তেলের ক্রেতা। বিশ্ব বাজারে ব্রেন্টের দর যদি আবার ১১০ ডলার পেরোয়, তা হলে ফের সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হতে পারে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কারণ, সে ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির আরও চড়বে, চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতি বাড়বে ভারতের ও টাকার দাম আরও পড়তে থাকবে।

এ দিকে, সোমবার মাঝারি মেয়াদে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের থেকে ৭০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.২% করেছে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ। তবে কমিয়েছে চিনের পূর্বাভাস।

মর্গ্যান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদেরা বলেছেন, চলতি খাতে ঘাটতি জিডিপি-র ২.৫% থাকা স্বস্তিদায়ক। কিন্তু তেলের দাম টানা চড়া থাকলে ওই ঘাটতি সেই লক্ষণরেখা পেরোতে পারে। তা আমদানির বাড়তি খরচ ক্রেতাদের বইতে হয় ধরে নিয়ে তাঁদের হিসাব, অশোধিত তেলের প্রতি ১০ ডলার বৃদ্ধি মূল্যবৃদ্ধির হারকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট ঠেলে তুলবে। সেই সঙ্গে চলতি খাতে ঘাটতি বাড়বে ৩০ বেসিস পয়েন্ট। ফলে সুদ বাড়ানোর ছাড়া উপায় থাকবে না আরবিআইয়ের।

উল্লেখ্য, লাগাতার ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পরে গত ফেব্রুয়ারি থেকে সুদ স্থির রাখছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে। তবে মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুললে তা বাড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে।


(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE