প্রতীকী ছবি।
খরিফ মরসুমের খাদ্যশস্য রাখতে কেন্দ্রের দেওয়া বরাত অনুযায়ী এখন রাজ্যের চটকলগুলিতে জোরকদমে বস্তা উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু কাঁচা পাটের অভাবে সঙ্কটে পড়েছে বহু চটকলই। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা ১৫০০ কুইন্টালের বেশি কাঁচা পাট মজুত করে রাখতে পারবেন না বলে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জুট কমিশনারের অফিস। এর বেশি থাকলে তা বিক্রি করতে হবে। যদিও এই নিয়ন্ত্রণ তোলার দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী আগেই বলেছিলেন, পাটের দাম বাড়লে চাষিদের আয় বাড়বে, সেটা ভাল। কিন্তু মজুত বা অন্য কোনও কারণে কাঁচা পাটের দাম চড়তে থাকলে তা ঠেকাতে পদক্ষেপ করা হবে। সূত্রের খবর, বেশি মজুতের কারণে জোগানে যাতে আরও ঘাটতি না-হয় তা মাথায় রেখেই ওই সীমা বোধা হয়েছে। কারণ, অগস্টে কাঁচা পাটের দাম ১০%-১৫% বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করছিল চটকলগুলিও।
অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ কুমার পালিত দাবি করেছেন, এ বছর আমপান এবং অতিবৃষ্টির কারণে রাজ্যের পাটের উৎপাদন ২৫%-৩০% কম হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী জোগানের ঘাটতি রয়েছে বলেই দাম উপরের দিকে। কিন্তু এখনই মজুত নিয়ন্ত্রণ করা মানে ব্যবসায়ীরা বেশি পাট কিনতে পারবেন না। ফলে দাম পাওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হবেন চাষিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy