—প্রতীকী চিত্র।
চড়া মূল্যবৃদ্ধি, চাহিদায় ধাক্কা, রফতানির ঢিমে ভাব পেরিয়ে ভারত চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ৭.৮% বৃদ্ধির মুখ দেখেছে বলে জানিয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান। সেই তথ্যের সত্যতা নিয়েই শুক্রবার প্রশ্ন তুলল বিরোধী কংগ্রেস। তাদের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, বৃহস্পতিবার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান সামনে আসার পরে ঢাকঢোল পেটানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আর্থিক বৃদ্ধির হার যতটা, তার তুলনায় তা ১ শতাংশ বিন্দু বেশি দেখানো হয়েছে। আর সে জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এমন নিয়ম, যাতে জিনিসপত্রের দামে রাশ থেকেছে দেখানো যায় এবং তার সাহায্যে বেশি আর্থিক বৃদ্ধির হার হিসাব করা সম্ভব হয়।
মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় অবশ্য কেন্দ্রের পরিসংখ্যানের উপরে ভিত্তি করেই চলতি বছরে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। এর আগে তারা বলেছিল, ২০২৩ সালে ওই হার হবে ৫.৫%। শুক্রবার বলেছে, তা দাঁড়াবে ৬.৭ শতাংশে। তবে চলতি বছরের উঁচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে ২০২৪ সালে বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেতে পারে বলে মত তাদের। সে ক্ষেত্রে পরের বছরে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৫% থেকে কমিয়ে ৬.১% করেছে তারা।
কংগ্রেসের যদিও অভিযোগ, অর্থনীতির এই ধারাই বলে দেয় যে চাহিদা প্রচুর কমেছে। বিশেষত ধুঁকছে গ্রামীণ এলাকা। রফতানির তুলনায় বাড়ছে আমদানি। বৃষ্টির অভাবে অর্থনীতি যে ধাক্কা খেয়েছে, তার প্রভাব পড়বে দ্বিতীয় (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যানে। উৎপাদনের ছবিও আশা জাগানোর মতো নয়। এই অবস্থা চললে ২০২২-২৩ সালে বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬ শতাংশে। যা দেশের বিপুল জনসংখ্যার আয় বাড়াতে সক্ষম হবে না।
জিডিপি হিসাবের ক্ষেত্রে ধোঁয়াশা তৈরির বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশও। তাঁদের মতে, বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘‘অবিলম্বে জানানো উচিত এই হার হিসাবের জন্য কোন মূল্যসূচক ব্যবহার করা হয়েছে।’’
আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের মত, ‘‘দেশ কী হারে এগোচ্ছে, তা বুঝতে মূল্যবৃদ্ধি বাদে (রিয়েল) জিডিপি-র হিসাব দেখা জরুরি।’’ তিনি বলছেন, খুচরো বাজারে পণ্যের লাগামছাড়া দাম এবং চড়া বেকারত্ব— এটাই অর্থনীতির আসল চেহারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy