ছবি: সংগৃহীত।
দোকানে অস্বাভাবিক ভিড় এড়াতে অনেকেরই ভরসা ছিল নেট বাজার। কিন্তু বহু ক্রেতার অভিযোগ, নেটে পণ্যের বরাত দেওয়া যাচ্ছে না। কেনা যাচ্ছে না খাদ্যপণ্য ও ওষুধের মতো জরুরি জিনিসগুলিও। অন্য দিকে, পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজ়ন, বিগবাস্কেটের মতো ই-কমার্সের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যের পুলিস ও প্রশাসন তাদের কর্মীদের পণ্য পরিবহণে বাধা দিচ্ছে। অনেকে পুলিসের লাঠির মুখেও পড়েছেন। একই অভিযোগ মেডলাইফের।
অবস্থা সামলাতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আবশ্যিক পণ্যগুলির হোম-ডেলিভারি সচল রাখার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ -প্রশাসনকে। সে জন্য ডেলিভারি-কর্মীদের অনুমতিপত্র দেবে পুলিশ। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘লকডাউন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। প্রথম দিকে সমস্যা হলেও তা কেটে যাবে।’’ দিল্লি পুলিসও ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে ‘কার্ফু পাস’ বিলির কথা বলেছে।
বিভিন্ন রাজ্যের আশ্বাস পেয়ে রাতের দিকে ফ্লিপকার্ট জানায়, দেশে খাদ্যপণ্য ও জরুরি জিনিস সরবরাহ ফের চালু করবে তারা। অ্যামাজ়ন ও বিগবাস্কেটের দাবি, অত্যাবশ্যক পণ্য জোগাতে সরকারের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে তারাও। বিগবাস্কেট বলেছে দু’এক দিনের মধ্যে পরিষেবা চালু হবে।
দিনভর
• ক্রেতার অভিযোগ, লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই অনলাইনে পণ্যের বরাত দেওয়া যাচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে খাদ্যপণ্য ও ওষুধের মতো পণ্য কিনতে।
• ই-কমার্স সংস্থাগুলির দাবি, সরকার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ ও প্রশাসন তাদের কর্মীদের পণ্য পরিবহণে বাধা দিচ্ছে।
• ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজ়ন, খাদ্যপণ্য বিক্রেতা গ্রোফার্স, বিগবাস্কেট-সহ অনেকেই ঘোষণা করে, পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এর আগে অবশ্য নেটে পণ্য কিনতে গিয়ে দিনভর ভুগেছেন ক্রেতা। অত্যাবশ্যক পণ্যেরও বরাত দিতে পারেননি অনেকে। সূত্রের খবর, গ্রাহকদের এসএমএসে এক সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় ১৫ হাজার লিটার দুধ ও ১০ হাজার কেজি আনাজ নষ্ট হয়েছে।
দোকানের পাশাপাশি তাদের অনলাইন বাজারে পণ্যের চাহিদা বিপুল বাড়ার কথা জানিয়েছে স্পেনসার্স। আশ্বাস দিয়েছে, সরকারের সাহায্যে ক্রেতার চাহিদা পূরণ করবে তারা। তবে জোর দেবে কর্মীদের সুরক্ষাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy