Advertisement
E-Paper

কর আদায়ের এক্তিয়ার নিয়ে ঐকমত্য অধরাই

পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) হার চূড়ান্ত হয়েছে বৃহস্পতিবারই। কিন্তু এর আওতায় কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কার হাতে কোন করদাতার রাশ থাকবে, সে বিষয় ঐকমত্যে পৌঁছনো গেল না শুক্রবারও।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৪৭
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জেটলি।  -পিটিআই

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জেটলি। -পিটিআই

পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) হার চূড়ান্ত হয়েছে বৃহস্পতিবারই। কিন্তু এর আওতায় কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কার হাতে কোন করদাতার রাশ থাকবে, সে বিষয় ঐকমত্যে পৌঁছনো গেল না শুক্রবারও। ফলে দু’পক্ষের কর আদায়ের অধিকার ও করদাতাদের উপর নজরদারির (ডুয়াল কন্ট্রোল) বিষয়টি নিয়ে কার্যত ব্যর্থই হল জিএসটি পরিষদের এ বারের বৈঠক। যা আগামী এপ্রিল থেকে পণ্য-পরিষেবা কর চালুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

এর আগে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, দেড় কোটি টাকার কম ব্যবসায় শুধু রাজ্যেরই নজরদারি থাকবে। কিন্তু দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হলে সেখানে নজরদারি করবে কেন্দ্র ও রাজ্য, দু’পক্ষই। এ দিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘‘১.৫ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে, এমন ব্যবসায়ীদের থেকে কর আদায়ের অধিকার রাজ্যের হাতেই রাখতে হবে।’’ যে দাবিকে সমর্থন করেছে অধিকাংশ রাজ্যই। যদিও সূত্রের খবর, কেন্দ্র মনে করছে এই ভাগাভাগি একপেশে। কারণ ৯৩% পরিষেবা করদাতা এবং ৮৫% ভ্যাট প্রদানকারীরই ব্যবসা দেড় কোটির তলায়।

মতানৈক্যের জেরে অনেকে জিএসটি চালুতে দেরির আশঙ্কা করলেও, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আশাবাদী। তাঁর মতে, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে সিজিএসটি (কেন্দ্রের বসানো জিএসটি) ও আইজিএসটি (সম্মিলিত) বিল পাশ করতে তেমন বেগ পেতে হবে না। জেটলির কথায়, ‘‘সময় অল্প থাকায় অগস্টে জিএসটি-র সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করানোও কঠিন মনে হয়েছিল। তখনকার তুলনায় এখন আমি আরও আত্মবিশ্বাসী। গোড়ার শক্ত কাজগুলোর বেশির ভাগই শেষ। শুধু এই একটিই প্রধান পদক্ষেপ বাকি।’’ তবে কর আদায়ের ক্ষমতা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিচার করেই পদক্ষেপ করার পক্ষপাতী তিনি।

বস্তুত, এ দিন কর আদায়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় জিএসটি পরিষদের ৯-১০ নভেম্বরের বৈঠকটি পিছিয়ে দিতে হয়েছে। নয়াদিল্লিতে পরিষদের বৈঠকের পরে জেটলি জানান, রাজনৈতিক ঐকমত্য খুঁজতে এই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন ২০ নভেম্বর। আর পরিষদের পরের বৈঠক হবে ২৪-২৫ নভেম্বর।

GST
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy