Advertisement
১৭ মে ২০২৪

মাল্য কাণ্ডে ব্যাঙ্ককে তিরস্কার ট্রাইব্যুনালের

বিজয় মাল্যের বন্ধ থাকা বিমান সংস্থা কিংগ্‌ফিশার এয়ারলাইন্স সংক্রান্ত মামলায় ইন্ডিগো এবং গো-এয়ারকে তৃতীয় পক্ষ করার দাবি জানিয়েছিল ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩৫
Share: Save:

বিজয় মাল্যের বন্ধ থাকা বিমান সংস্থা কিংগ্‌ফিশার এয়ারলাইন্স সংক্রান্ত মামলায় ইন্ডিগো এবং গো-এয়ারকে তৃতীয় পক্ষ করার দাবি জানিয়েছিল ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি। ঋণ আদায় ট্রাইব্যুনালে (ডিআরটি) করা এই দাবির প্রসঙ্গে ব্যাঙ্কগুলিকে ভর্ৎসনা করে ডিআরটি-র প্রিজাইডিং অফিসার কে শ্রীনিবাসন বলেন, অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই বিমান পরিষেবা সংস্থা দু’টিকে এই মামলায় টেনে আনা হয়েছে।

এ জন্য নিয়ম মাফিক যে-ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তা-ও নেয়নি ব্যাঙ্কগুলি। পাশাপাশি, এয়ারবাস সংস্থাকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের তরফে কিংগ্‌ফিশারের বিমানের জন্য দেওয়া অগ্রিম অর্থও ফেরত দিতে বলেছে ডিআরটি।

প্রসঙ্গত, কিংগ্‌ফিশার এয়ারের জন্য বিমান কেনার জন্য ২০০৫ সালে এয়ারবাসকে অগ্রিম ১৯২.৫১ কোটি টাকা দিয়েছিল ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স, কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। কিন্তু চুক্তি মাফিক এয়ারবাস বিমান সরবরাহ করতে পারেনি। সেই অর্থ উদ্ধার করতে ডিআরটি-র দ্বারস্থ হয় ব্যাঙ্কগুলি। তখনই তারা দাবি জানায় ইন্ডিগো এবং গো-এয়ারের কাছ থেকে ওই টাকা উদ্ধারের। তার কারণ, এই দুই সংস্থাও এয়ারবাসের বিমান কিনেছিল। তাদের কাছে এয়ারবাসের যা পাওনা হয়, তার থেকেই অর্থ দাবি করে কিংগ্‌ফিশারের ঋণদাতারা। তাদের দাবি, ইন্ডিগো, গো-এয়ার ওই টাকা এয়ারবাসকে না-দিয়ে কিংগ্‌ফিশারের ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলিকে দিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই কথা জানান শ্রীনিবাসন।

তিনি বলেন, ব্যাঙ্কগুলির ঋণ বকেয়া রয়েছে বলেই, তা অন্য সংস্থার থেকে উদ্ধার করতে হবে— এই দাবি ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে ইন্ডিগো এবং গো-এয়ার বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি অন্ধকারে। এয়ারবাসের কাছ থেকে বিমান কিনেছে বলেই তাদের কিংগ্‌ফিশার মামলায় টেনে আনা তাঁর মতে তাই অযৌক্তিক।

প্রসঙ্গত, কিংগ্‌ফিশার ও মাল্যের কাছ থেকে বিপুল বকেয়া উদ্ধারে ডিআরটি-র দ্বারস্থ হয়েছে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির কনসোর্টিয়াম।

সোনা বন্ড ফের বাজারে আসছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদন

সোমবারই বাজারে আসতে চলেছে ষষ্ঠ দফার স্বর্ণ বন্ড প্রকল্প। এ বারের প্রকল্পে এক গ্রাম সোনার দাম ধার্য করা হয়েছে ২,৯৫৭ টাকা। যা গত সপ্তাহে ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্থির করা দামের তুলনায় ৫০ টাকা কম। সুদের হার ২.৫০%। আগের দফার তুলনায় ২৫ বেসিস পয়েন্ট কম।

ষষ্ঠ দফার স্বর্ণ বন্ডে লগ্নি করা যাবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। ইস্যু বাজারে আসবে ১৭ নভেম্বর। ন্যূনতম লগ্নি করতে হবে ১ গ্রাম সোনায়। বছরে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম সোনা কেনা যাবে। টাকা দেওয়া যাবে নগদে (২০,০০০ টাকা পর্যন্ত), ডিমান্ড ড্রাফ্ট অথবা চেক মারফত বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে।

প্রকল্পে পাওয়া সুদে করছাড় নেই। তবে মেয়াদ শেষে বন্ড ভাঙানোর ক্ষেত্রে মূলধনী লাভকরে ছাড় রয়েছে। মেয়াদের আগে তা বিক্রি করলে দিতে হবে মূলধনী লাভকর। সোনা বন্ড গচ্ছিত রেখে নেওয়া যাবে ঋণও।

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় স্বর্ণ বন্ড ছেড়ে ৩,০৬০ কোটি টাকা তুলেছে কেন্দ্র। গত বছরে প্রথম বার এই প্রকল্প এনেছিল তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Vijay Mallya Debt Recovery Tribunal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE