সরকারি ভাবে মোদী সরকার জানিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দামে হস্তক্ষেপ করবে না তারা। জ্বালানির দর বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পরে তা করার কথাও নয়। কিন্তু ঘরোয়া ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার কর্তাদের রয়ে-সয়েই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানোর ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
সরকারি সূত্রের খবর, গতকাল তেল সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, সরকার এখনই তেল সংস্থাগুলিকে দাম কমাতে বলছে না। রোজকার দাম বদলে হস্তক্ষেপও করছে না। কিন্তু তেলের দাম বাড়ানোর সময় সাধারণ মানুষের কথাও খেয়াল রাখতে হবে। পুরো বোঝাই আমজনতার উপরে চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। এবং সুযোগ পেলে যতটা সম্ভব দাম কমিয়ে আমজনতাকে সুরাহা দিতে হবে। যে সূত্র মেনে বৃহস্পতিবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম সামান্য বাড়ানো হয়েছে।
তেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, সরকারি ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে জ্বালানির দাম কমাতে বলা হলে তাদের শেয়ারের দর বেশি পড়ে যেত। এমনিতেই বুধবার সকাল থেকে সংস্থাগুলির দর পড়তে শুরু করেছিল। কারণ সরকারি স্তরে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, এখনই পেট্রোল-ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক কমানো হচ্ছে না। ফলে জ্বালানির দাম কমাতে হলে তেল সংস্থাগুলিকে ক্ষতি সামলে তা করতে হবে। সেই আশঙ্কাতেই ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের দর পড়তে শুরু করে।
পেট্রোলে লিটার প্রতি ১৭.৩৩ টাকা ও ডিজেলে ২১.৪৮ টাকা হারে উৎপাদন শুল্ক আদায় করে কেন্দ্র। তার উপরে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের ভ্যাট। কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ভ্যাট কমানোর কথা বললেও নিজের উৎপাদন শুল্ক কমাতে নারাজ। আজ কংগ্রেস দিল্লি জুড়ে এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তেলের দাম কমানোর দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নিজে এ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy