উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তারই মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধে তাঁর ছোড়া ‘মিসাইল’ এ বার কানাডার পাশাপাশি আছড়ে পড়ল ভারতের উপরেও। কিছু মার্কিন পণ্যে ১০০% শুল্ক চাপানোর অভিযোগ তুলে ফের ভারতকে বিঁধলেন তিনি। সেই ভারত, যার সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত বছর ১,১০০ কোটি ডলার বেড়ে নজির গড়েছে। সেই নরেন্দ্র মোদীর দেশ, যাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব মাখা উষ্ণ আলিঙ্গনের ছবি এক সময় নজর কেড়েছিল সারা দুনিয়ার।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ অনেকটা বাড়িয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ট্রাম্পের তরজা। ওয়াশিংটনের ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক বসানোর পাল্টা জবাব দিতে মার্কিন পণ্যে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে কানাডা সরবে না জানাতেই ধেয়ে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইট-তোপ। যেখানে জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলির দেওয়া যৌথ বিবৃতি থেকে মার্কিন প্রতিনিধিদের সম্মতি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তুলোধনা করেছেন ট্রুডোকে। আর তার পরেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছে জি-৭ গোষ্ঠীর অন্যান্য দেশ।
এই পরিস্থিতিতে তাঁর শুল্ক তোপের মুখে যে উন্নয়নশীল দেশগুলিও রয়েছে, তা বোঝাতেই সোমবার ফের নয়াদিল্লিকে একহাত নেন ট্রাম্প। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ শুল্ক হোক বা মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘন, এত দিন চিনকেই নিয়ম করে সবার আগে ও সবচেয়ে বেশি বিঁধে এসেছে আমেরিকা। সেখানে এ বার এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশ বলতেই প্রথম নাম উঠেছে ভারতের। বিশেষ করে যেখানে হালে বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা বিষয়ে ওয়াশিংটনের আপত্তির তালিকার শীর্ষে চিন, মেক্সিকো, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ যতটা আলোচনার কেন্দ্রে, ভারত এখনও পর্যন্ত ততটা নয়।
ট্রাম্পের ট্রুডো-তোপ অবশ্য অব্যাহত। রবিবারের পরে সোমবারও একের পর এক টুইটে কানাডা ও তার প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে গিয়েছেন তিনি। ট্রুডোর ঠাঁই নরকেও হবে না বলে তোপ দেগেছেন ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা। কখনও ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘পাল্টা না দিলে নীতি মেনে হওয়া বাণিজ্যকে এখন বোকা বানানোর বাণিজ্য বলা হয়।’’ কোনও টুইটে ট্রুডোকে ‘অসৎ’ ও ‘দুর্বল’ বলেছেন। কোনওটাতে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি কেন বিপুল বাণিজ্য উদ্বৃত্ত নিয়ে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখব বিভিন্ন দেশের জন্য?...যেখানে মার্কিন কৃষক, কর্মীদের বড়সড় মূল্য চোকাতে হয়?’’ তবে এই আক্রমণের পরে তীব্র নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy